E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কেন্দুয়ায় ওয়াই গ্রামে এক রাতে দুবৃর্ত্তদের হাতে ব্যবসায়ী খুন ও সেনা সদস্যের ঘরে আগুন

২০২৫ মার্চ ২২ ১৮:০৬:১৪
কেন্দুয়ায় ওয়াই গ্রামে এক রাতে দুবৃর্ত্তদের হাতে ব্যবসায়ী খুন ও সেনা সদস্যের ঘরে আগুন

কেন্দুয়া প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামে শুক্রবার রাতে দুবৃর্ত্তদের হাতে কাচাঁমাল ব্যবসায়ী তারা মিয়া (৫৮) খুন হইয়াছেন। এই রাতে মৃত ফজলে এলাহীর ছেলে সেনা সদস্য আরিফুজ্জামান এর বৈঠক ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ দুটি ঘটনায় এলাকার জনমনে আতংকের সৃষ্টি করেছে। 

জানা যায়, কাঁচামাল ব্যবসায়ী তারা মিয়া ওই গ্রামের মৃত: আয়ুব আলী ফকিরের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। গড়াডোবা ইউনিয়নের বাসাটি বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। প্রতিনিদিনের মতো রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত অনুমান ১০টার দিকে সাতারখালী ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে দুবৃর্ত্তরা তাকে খুন করে নগদ টাকা পয়সা লুট করে নিয়া যায় এবং তারা মিয়ার মৃত দেহটি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখে। শেষ রাতে ফজরের নামাযের পর তারা মিয়ার ছোট ভাই সুলাইমান তারা ভাইয়ের সন্ধ্যান করতে গিয়ে ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে বাজারের একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। রক্তমাখা ব্যাগ দেখে তার সন্দেহ হলে এখানেই তিনি খোজাঁখুজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঝোপের আড়ালে তার ভাইয়ের রক্ত মাখা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

সরেজমিনে গেলে শনিবার দুপুরে সোলায়মান জানান, কে বা কারা আমার ভাইয়ের মাথা ও চোখে একাদিক আঘাত করে খুন করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মড়গে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে লাশ নিয়ে আসার পর রাতে জানাযার নামাজ শেষে তার পিতার কবরস্থানের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হবে। কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান-এখনোও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয় নি। লিখিত অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে। তবে ওসি জানান-খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেনা সদস্যের বৈঠকঘরে দুবৃর্ত্তদের আগুন

এদিকে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামে মৃত ফজলে এলাহীর ছেলে সেনা সদস্য আরিফুজ্জামানের বৈঠকঘর শুক্রবার রাতে যে কেনো সময় দুবৃর্ত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে বৈঠকঘরে থাকা একটি মটরসাইকেল টিবিএস মেট্রো ও ঘরের আসবাবপত্রসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আরিফুজ্জামান জানান-ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে তিনি বাড়িতে আসেন। ওই বৈঠকঘরে একটি মটরসাইকেল টিবিএস মেট্রো ও কাঠের মূল্যবান আসবাবপত্র ছিল। দুবৃর্ত্তরা রাত অনুমান ১১টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বৈঠকঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আরিফুজ্জামানের ছোট ভাই সোহেল জানান- বিভিন্ন শব্দ পেয়ে তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের বৈঠকঘরে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছে। পরে চিৎকার দিলে গ্রামবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও বৈঠকঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেনা সদস্য আরিফুজ্জামান জানান-পূর্ব শুত্রুতার জের ধরেই এঘটনাটি ঘটতে পারে।

তিনি জানান, তার বোনের বিয়ে বন্ধ করার কে বা কারা ওই গ্রামের ইউপি সদস্য সোনা মিয়ার নামে চিঠি লিখে বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে রাখছে। আরিফুজ্জামান এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। তবে ইউপি সদস্য সোনা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানিনা। আমিও এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান অভিযোগ পেলেই মামলা হবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুবৃর্ত্তদের খোঁজে বের করা হবে।

(এসবি/এসপি/মার্চ ২২, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৩ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test