E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ফরিদপুর বেইলিব্রীজ এখন দুর্ভাগ্যের প্রতীক, নাজেহাল পথচারীরা

২০২৫ মার্চ ১১ ২০:০১:৪২
ফরিদপুর বেইলিব্রীজ এখন দুর্ভাগ্যের প্রতীক, নাজেহাল পথচারীরা

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুরের বেইলিব্রিজ, স্থানীয়দের কাছে 'লোহার ব্রিজ' নামে পরিচিত। ১৯৩৫ সালে নির্মিত এই সেতুটি ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ধসে যায়। তারপর অস্থায়ীভাবে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়, যা আজ ৩৭ বছর ধরে চলছে। কিন্তু এখন এটি দুর্ভোগের প্রতীক। অবৈধ ফুটপাত দখল ও অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের কারণে পথচারীরা নাজেহাল হচ্ছেন।

ব্রিজের উপর দিয়েপ্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল। কিন্তু অবৈধ দখল ও দীর্ঘদিন অবহেলা 'যানজটের' কারণে এটি এখন সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয়রা জানান, যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা বাইপাস সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি অস্থায়ী ব্রিজ ৩৬ বছর ধরে চলছে, যা শহরের উন্নয়নের বড় বাধা।

অবৈধ ফুটপাত দখল এবংঅপর্যাপ্ত পরিকল্পনার কারণে ব্রিজটি আজ যানজটের কেন্দ্রবিন্দু। শহরের উন্নয়ন ও স্মার্ট সিটি গঠনের পথে এটি একটি বড় অন্তরায়। স্থানীয়রা দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ পথচারী বলেন, এই ব্রিজটিফরিদপুরের প্রাচীন সেতু, কিন্তু এখন এটি শুধু সমস্যার কারণ। যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় আমরা বাইপাস সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা চাই একটি নতুন স্থায়ী সেতু।

একটি অস্থায়ী ব্রিজ ৩৭ বছর ধরে চলছে! এটি শহরের উন্নয়নের বড় বাধা। অবৈধ ফুটপাত দখলের কারণে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।

ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহীপ্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার জানান, বেইলি ব্রিজটি খুবই জরুরি সংস্কারের অবস্থায় রয়েছে। এটি বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করেন। ইতিমধ্যে সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অতি শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। অবৈধ ফুটপাত দখল উচ্ছেদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

(ডিসি/এসপি/মার্চ ১১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১২ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test