E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপর হামলা, আহত ৮

২০২৫ জানুয়ারি ৩১ ১৯:৫৬:৫৩
সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপর হামলা, আহত ৮

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ৮ শিক্ষার্থী উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯  টায় গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়া নতুন স্কুল রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

হামলায় আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাই ক্যামেষ্টি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষা বর্ষের সেলিম রেজা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষা বর্ষের ইমরান, কৃষি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের তাহমিদ, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ইয়াজদানী, আসাদুল্লাহ ও খালিদ।

হামলায় আহতদের মধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনা জানাজানি হলে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় এসে জড়ো হন।

এ সময় তারা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও থানায় আসেন।

বৃহস্পতিবার রাতেই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া ইফতি মাহমুদ ও তার পিতা কবির মাহমুদকে শহরের ব্যাংকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে থানা ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা।

আহত শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৩ জনের নাম উল্রেখ ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার দুপুরে মামলাটি রেকর্ড করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মির সাজেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রদের পক্ষ থেকে সেলিম রেজা নামে এক ছাত্র বাদী হয়ে মামলা করেছেন ।

এ ঘটনার সাথে জড়িত ইফতি মাহমুদ ও তার পিতা কবির মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।

প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান (শান্ত) বলেন, রাত ৯ টার দিকে ব্যাংকপাড়া নতুন স্কুল রোডে দেখি ১০-১৫ জন লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫-৬ জন শিক্ষার্থীকে পেটাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে দৌড়াচ্ছে ওরা পেছনে ধাওয়া করে পেটাচ্ছে। পরে জানতে পরলাম সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাই ক্যামেষ্টি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা টিউশনি শেষে গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ার নতুন স্কুল রোডের মেসে ফিরছিলেন। নতুন স্কুল রোডে পৌছালে ইফতি নামের এক যুবক আরো সহ কয়েকজন সাথে নিয়ে সেলিম রেজার গতি রোধ করে। তখন সেলিম রেজার কাছে জানতে চায় তুই কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িস? তুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক...। তোর সমন্বয়ক গিরি দেখাচ্ছি বলে মারপিট শুরু করে। সেলিম রেজা দৌড়ে মেসে গিয়ে জানায়।

মেস থেকে কৃষি বিভাগের তাহমিদ, মুয়াজ বিল্লাহ, ইমরান, ইয়াজদানী, আসাদুল্লাহ ও খালিদ মেস থেকে বের হয়। এবং হামলাকারীদের কাছে জানতে চায় কেন তাকে মারপিট করছে। এসময় হামলাকারীরা তাদেরও লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে।

আমি তখনই থানায় ফোন করে পুলিশ খবর দেই। তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।

পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে দেড়শ থেকে দুইশ শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় আসে।

ফার্মেসি বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহীন বলেন, " গোপালগঞ্জে বার বার শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ভাবে হামলা করা হচ্ছে। আমরা অতিবিলম্বে এই সকল হামলার বিচার চাই। যে সকল সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

(টিবি/এএস/জানুয়ারি ৩১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test