E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

সিদ্ধিরগঞ্জে সুতায় ব্যবহৃত কুন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১৮:৩৬:০২
সিদ্ধিরগঞ্জে সুতায় ব্যবহৃত কুন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

মো: শান্ত, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুতায় ব্যবহৃত কুন প্রস্তুতকারি একটি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় চার ব্যবসায়ীর চারটি ওয়েস্টেজ গোডাউন সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

আজ বুধবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বউ বাজার শান্তিনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, নূর আলমের মালিকানাধীন কুন কারখানায় লাগা আগুন পরে পাশের চারটি গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে মন্ডলপাড়া ও হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু। তবে শুরুর দিকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় দ্রুত পানি ফুরিয়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। পরে আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসকে পুনরায় জানানো হলে আরো পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

শরীফ হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, সকাল ৭টার দিকে নূর আলমের মালিকানাধীন একটি কুন কারাখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটি পাশের গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের চারটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানা ও গোডাউনগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার শুরুর দিকে কুন কারখানার কিছু মালামাল অক্ষত উদ্ধার করা হয় বলে জানান শরীফ।

আলমগীর নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী জানান, গোডাউনে গার্মেন্ট ওয়েস্টেজ এলডি পলিথিন ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। গোডাউনে তার পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি করেন এই ব্যাবসায়ী।

এছাড়া আরো তিন জন ব্যবসায়ীর তিনটি ওয়েস্টেজ গোডাউন আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে গিয়ে স্থানীয় দুজন স্বেচ্ছাসেবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজনের নাম জিহাদ। অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনাস্থলে এসে আমরা দেখেছি, রেজিন, প্যাকিংবক্স, কুনিং এবং ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন উপাদান এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। সেই সাথে আগুনের ভয়াবহতা ছিল অনেক। আমাদের ছয়টা ইউনিট দ্রুত আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করেছি। শুরুতে পানির অনেক সংকট ছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্নভাবে পানির ব্যবস্থা করি। সাড়ে নয়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১৫, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test