E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

চুরির সময় চোরকে চিনে ফেলায় হত্যার শিকার হন ওহাব মাতুব্বর

২০২৫ জানুয়ারি ১৪ ১৮:০৭:৩১
চুরির সময় চোরকে চিনে ফেলায় হত্যার শিকার হন ওহাব মাতুব্বর

রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : চুরি করতে গিয়ে চোর চিনে ফেলায় নৃশংসভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ওহাব মাতুব্বরকে (৭৩)। ওহাব মাতুব্বরের মরদেহ উদ্ধারের ৫ দিনের মধ্যে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছেন- ভাঙ্গা উপজেলার আলেখারকান্দার রাজ্জাক কাজীর ছেলে আমিন কাজী (৪০), সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মন্দী গ্রামের কাইয়ুম হাওলাদার ছেলে অভি হাওলাদার (২৪) ও হাজেরিয়া হাজীরকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান (২০)।

আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল।

পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ প্রথমে চুরি হওয়া বাড়ির প্রতিবেশী সন্দেহভাজন আমিনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেয়া তথ্য মতে ১৩ জানুয়ারি দিনভর অভিযান চালিয়ে বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়'। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল।

তিনি আরও জানান, আসামিরা ভেবেছিলো যেহেতু বাড়ির মালিক অনেক বড়লোক বাড়িতে মূল্যবান মালামাল পাবে। সে উদ্দেশ্যে চুরি করতে ঢুকেছিলো তারা। বাড়িতে চুরি করার চেষ্টার এক পর্যায়ে কেয়ারটেকার দেখে ফেলায় তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ওই তিন চোর। তবে তারা বাড়িতে তেমন কোন মালামাল পায়নি।

নিহত ওহাব মাতুব্বর দীর্ঘদিন প্রবাসী ছিলেন। অবিবাহিত থাকায় বৃদ্ধ বয়সে তার সাথে তেমন কারো যোগাযোগ ছিল না। তাকে ১ জানুয়ারি ভোরে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে আসামিরা।

উল্লেখ্য, বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রাম থেকে প্রয়াত ডাক্তার জামাল উদ্দিন খলিফার বাড়ির কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের (৬৮) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। জামাল উদ্দিন কয়েক মাস আগে মারা যান। জামাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার ৩ তলা বাড়িটি ফাঁকা থাকতো। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। তাই ওই বাড়ির দেখভাল করার জন্য ওহাব মাতুব্বর ওই বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন এবং ওই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওহাব মাতুব্বরের বোন নুরজাহান বেগম ভাইকে শীতের পিঠা খাওয়াতে আসলে বাড়ি অন্ধকার দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তা নেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনতলার সিড়ির রেলিং এর সাথে দড়ি দিয়ে বাধা অবস্থান ওহাব মাতুব্বরের মরদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

(আরআর/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test