E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

চাঁদার দাবিতে চার হাজার একর জমির সেচ বন্ধ, চাষাবাদ ব্যাহত

২০২৫ জানুয়ারি ১৩ ১৮:৩৪:১৭
চাঁদার দাবিতে চার হাজার একর জমির সেচ বন্ধ, চাষাবাদ ব্যাহত

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের সাতটি ও বাটাজোর ইউনিয়নের পাঁচটি বোরো ব্লকের সেচ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই দুই ইউনিয়নে ১২টি বোরো ব্লকের তিন হাজার কৃষকের প্রায় চার হাজার একর জমির চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ উত্তর সীমানার প্রাইমারি সেচ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আজ সোমবার সকালে ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোসনাবাদ উত্তর সীমানার আড়িয়াল খাঁর শাখা পালরদী নদীর স্টিমারঘাট এলাকায় সেচপাম্প বসিয়ে প্রাইমারি প্রকল্পের মাধ্যমে নলচিড়া খাল ও বাটাজোর ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া খালে বোরো ব্লকের জন্য সেচ প্রকল্প চালু করেন বছার গ্রামের আব্দুল হামিদ সরদারের ছেলে জাকির হোসেন। প্রকল্পটি তদারকি করেন জাকির হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন।

আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, গত ২ জানুয়ারি তিনি সেচপাম্প বসিয়ে প্রাইমারি প্রকল্প থেকে সেকেন্ডারি ১২টি প্রকল্পে সেচ দিয়ে পানি সরবারহ শুরু করেন। এ সময় বাসুদেবপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মৃধার ছেলে সানাউল মৃধা ও শংকরপাশা গ্রামের কালাম খানের ছেলে মামুন খানের নেতৃত্বে তাদের সাত-আটজন সহযোগিরা তার (আনোয়ার) কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় সেচপাম্প বন্ধসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, হুমকির মুখে গত ৫ জানুয়ারি পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর বাকি টাকার জন্য চাঁপ দিতে থাকে। এরপর বাকি টাকা না দেওয়ায় সেব পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে তাকে (আনোয়ার) লাঞ্ছিত করা হয়।

প্রকল্পের একাধিক ব্যবস্থাপকেরা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সরবারহ শুরু হলে আমরা জমি প্রস্তুত করি। কিন্তু হঠাৎ পানি সরবারহ বন্ধ হওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। তারা আরও বলেন, গুটিকয়েক চাঁদাবাজদের কারণে কয়েক হাজার কৃষকের জমিতে সেচ কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ওইসব জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

চাঁদা দাবির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে অভিযুক্ত সানাউল মৃধা বলেন, আগের সেচ প্রকল্পের মালিকের কাছ থেকে আমি লিখিতভাবে প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি। সেই প্রকল্প জাকির হোসেন দখল করতে চান বলে আমি তাতে বাঁধা দিয়েছি।

গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেকেন্দার শেখ বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, এ ঘটনায় প্রাইমারি সেচ প্রকল্পের তদারককারী আনোয়ার হোসেন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test