E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

রাজারহাটে শীতের দাপটে জনজীবন কাহিল, হিমেল বাতাসের সঙ্গে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি

২০২৫ জানুয়ারি ০৮ ১৮:৪৯:৫০
রাজারহাটে শীতের দাপটে জনজীবন কাহিল, হিমেল বাতাসের সঙ্গে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সেই সাথে হালকা ধরনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষজন। শীতকষ্টে পড়েছে অতিদরিদ্র ছিন্নমূল শ্রমজীবী এবং তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষেরা। প্রচন্ড ঠান্ডায় লোকজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে যেতে পারছে না। 

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় রাজারহাট উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করেছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণার। যা গত কালের তুলনায় মাত্র ২ ডিগ্রি বেশি।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় হিমেল বাতাসে শীত ও কনকনে ঠান্ডা বেশী অনুভুত হচ্ছে।

কনে কনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে গ্রাামাঞ্চলের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীরে কিছুটা তাপ নিচ্ছে।

হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি বলে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ জানিয়েছে।

চাকিরপশার তালুক গ্রামের শ্রমজীবি সেকেন্দার আলী (৭২) বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অনেক ঠান্ডা। আবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে খুব ঠান্ডা। হাত পা হিম হয়ে যাচ্ছে। শহরে মানুষজনও কম।

শীত মৌসুমে শীতার্ত মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনে ৩হাজার ৭৮২টি শীতবস্ত্র কম্বল আসার পর তা বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনে কোন কম্বল মজুদ নেই বলে রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, দফায় দফায় এ অঞ্চলে শৈত প্রবাহ। এছাড়া এ অভাবী এলাকা। শীতে এ অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয়। তাই এখানে শীত নিবারনের জন্য বেশী করে শীতবস্ত্র বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনের তুলনায় এখানে বরাদ্দ একেবারেই নগণ্য। শীতবস্ত্র আবার আসলে শীতার্ত মানুষকে দেয়া হবে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৯ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test