E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন

২০২৫ জানুয়ারি ০৮ ১৮:৪২:৫৯
স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন

কেন্দুয়া প্রতিনিধি : স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের মৃত মন্তু মিয়ার কন্যা পারভীন আক্তার (৩৫) একই গ্রামের ফজলুু মিয়ার ছেলে তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে ধর্ষনের অভিযোগ এনে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

পারভীন আক্তার তার অভিযোগে বলেন, গত ২০ অক্টোবর রাত অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে অস্ত্রের মুখে ঘরে প্রবেশ করে তোফাজ্জল। ঘরের সকলকে জিম্মি করে পারভীন আক্তারকে ধর্ষন করে। লোক লজ্জার ভয়ে পারভীন আক্তার ঘটনাটি প্রথমে কাউকেই জানাননি। তিন চার দিন পর গ্রাম্য মাতাব্বরদের নিকট জানালে তোফাজ্জল এ ঘটনার মিমাংসার বিষয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক মাস সময় চায়।

পারভীন বলেন, আমার তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী নেই তাই বিষয়টি মেনে নিয়ে এক মাস অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তোফাজ্জল আমাকে ধর্ষনের পর মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পারভীন বলেন, যদি এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করি তাহলে তোফাজ্জল আমাকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়। আমি থানায় অভিযোগ দিলেও প্রথমে আমার অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে থানায় গেলে আমার অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে একই গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে দেলোয়ারের সাথে বিয়ে হয় পারভীনের। তাদের তিনটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু স্বামী স্ত্রীতে বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙ্গে যায়। স্ত্রী তালাক দেওয়ার পর দেলোয়ার চলে যান বিদেশ। এ সুযোগে গত কিছুদিন আগ থেকে তোফাজ্জল পারভীনের বাড়িতে আনাগোনা করতে থাকে।

পারভীন জানান, সরলতার সুযোগে একদিন সুযোগ বুঝে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষন করে তোফাজ্জল। এ ব্যাপারে তোফাজ্জলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও থাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

কেন্দুয়া থানা পেমই তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ বাবুল মিয়া বলেন, পারভীনের অভিযোগটির তদন্ত শুরু করেছি। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এবং গ্রামের বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। তদন্তকালে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ধর্ষনের অভিযোগটি প্রশ্নবিদ্ধ। রাতের বেলায় ঘরে আরও অন্যান্য মানুষ থাকার পরও অস্ত্রের মুখে কিভাবে পারভীন আক্তারকে ধর্ষন করা হয়েছে তা আরও তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল কেন্দুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেছি। তিনি যা ভালো মনে করেন তাই করবেন।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগটির তদন্ত শেষে সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করা হবে।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৯ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test