E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুই রুটে ফেরি চলাচল শুরু

২০২৪ ডিসেম্বর ২৩ ১৩:৪৪:৩৯
৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুই রুটে ফেরি চলাচল শুরু

স্টাফ রিপোর্টার : কুয়াশায় আবারও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে এই দুই নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়া চার ফেরিতে থাকা যাত্রী, চালকসহ কয়েকশ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার পর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে দুই নৌপথে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, রবিবার দিবাগত থেকে পদ্মা এবং যমুনা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়তে থাকলে রাত ১২টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে এবং প্রায় ২০ মিনিট পর রাত ১২টা ২০মিনিটে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

ফেরি বন্ধের আগে দুই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিন, শাহ পরান এবং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি কপোতী দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। মাঝ নদীতে চারটি ফেরি আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে কোনো ঘাট থেকে আর কোনো ফেরি ছাড়েনি।

এ সময় দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ঘাটে কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি বাইগার এবং ৭ নম্বর ঘাটে রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নোঙর করতে বাধ্য হয়।

পাটুরিয়া ঘাট এলাকার ৩ নম্বর ঘাটে কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা, ইউটিলিটি ফেরি বনলতা ও ৫ নম্বর ঘাটে হাসনা হেনা এবং রো রো ফেরি ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ও কেরামত আলী নোঙর করে ছিল। প্রায় সাত ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ৭টা থেকে কুয়াশা কমলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ নৌযান চলাচল স্বাভাবকি হয়। মাঝ নদীতে আটকে থাকা চারটি ফেরির শতাধিক যানবাহনের সঙ্গে প্রায় দুইশ যাত্রী, যানবাহনের চালকসহ ফেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কুয়াশা আর কন কনে শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েন।

মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরটা নৌপথেও রবিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান, কেটাইপ ফেরি ধানসিড়ি মাঝ নদীতে কুয়াশার কবলে আটকা পড়ে নোঙর করতে বাধ্য হয়। প্রায় ৬ ঘন্টা পর সোমবার সকাল ৭টার পর থেকে কুয়াশা কাটতে থাকলে এই রুটেও ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে কুয়াশায় বন্ধের কারণে আরিচা ঘাটে কেটাইপ ফেরি চিত্রা ও কিষাণী এবং রো রো ফেরি শাহ আলী ও খানজাহান আলী নোঙরে ছিল। কাজিরহাট প্রান্তে এ সময় কোনো ফেরি ছিল না।

তার আগে রবিবার সকালেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা ও কাজিরহাট এই দুই নৌপথে কুয়াশার কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো দুই নৌপথে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পাড়ি দিতে ঢাকামুখী অন্তত শতাধিক গাড়ি অপেক্ষা করতে থাকে।

ক্যানাল ঘাট এলাকার বাসিন্দা শাকিল মোল্লা বলেন, ‘রবিবার রাত ১১টার পর থেকে কুয়াশা পড়তে থাকে। ভারি কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর রাত ১২টার দিকে শোনা যায় ফেরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় ফেরি ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হয়।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, কুয়াশার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথে রবিবার সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধের পর মধ্যরাত থেকে ফের ফেরি বন্ধ হয়। ৭ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এবং ৬ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া দুই নৌপথে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছয়টি ফেরি। দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশ যাত্রী ও যানবাহনের চালক।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test