গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারগারে

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির গাজী ও নিজড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফায়েকউজ্জামান মীনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোঃ সাজেদুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি মির মোঃ সাজেদুর রহমান আরো বলেন,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামী অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ ডিসেম্বর রাতে অভিযান চালানো হয়। এসময় জেলা শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির গাজী ও নিজড়া ইউনিয়নের নিজড়া গ্রামের বাড়ি থেকে নিজড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফায়েকউজ্জামান মীনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতা–কর্মীদের গাড়ি বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। এসময় ১০ টি গাড়ি ভাঙচুর ও অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া গাড়ি বহরে থাকা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম (সেলিম), সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০২৪)