E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক, অতঃপর

২০২৪ ডিসেম্বর ১৪ ১৭:৫২:১২
ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক, অতঃপর

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : অনলাইনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলার সূত্র ধরে পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্রধরে ১৭ বছরের এক কিশোরীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।

বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ উদ্ধার করেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার লালবাগ থানার এসআই অপু মিত্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর ১৭ বছরের এক কিশোরী ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত জানার পর লালবাগ থানার ওসি ভুক্তভোগীর পরিবারকে বরিশাল মহানগরের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে পাঠান। পাশাপাশি লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন।

সূত্রমতে, এয়ারপোর্ট থানায় বসবাসরত নাফিজুর রহমান নামে এক তরুণ আনুমানিক দেড় মাস আগে অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে ওই কিশোরীর সাথে পরিচিত হন এবং তার সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে গত ১০ ডিসেম্বর ওই কিশোরীর কাছ থেকে ২১ ভরি দুই আনা স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যান নাফিজুর। এছাড়া এর আগে নগদ ও বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওই কিশোরীর কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রযুক্তিগত সত্যতা পেলে লালবাগ থানা পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলার কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এয়ারপোর্ট থানায় প্রেরণ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রহমতপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রতারক চক্রের প্রধান সদস্য ও মামলার প্রধান আসামি এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে নাফিজুর রহমান (২২) ও তার সহযোগি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ এলাকার শামিউল আলমের ছেলে শফিউল আলম প্রিন্সকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের হেফাজতে থাকা বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থা থেকে ১১ ভরি এক আনা দুই রতি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১২ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test