E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মিয়ানমার সীমান্তে একের পর এক বিস্ফোরণ, আতঙ্কে টেকনাফবাসী

২০২৪ ডিসেম্বর ০৭ ২৩:৪১:০০
মিয়ানমার সীমান্তে একের পর এক বিস্ফোরণ, আতঙ্কে টেকনাফবাসী

স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকা। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে টেকনাফ পৌর, সদর, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ আসতে থাকে।

টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দে তাদের ঘরবাড়ি পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। এতে আতঙ্কে রাতে তারা ঘুমাতে পারছেন না। এমনকি আতঙ্কে অনেকে এ শীতের রাতে ঘরের বাইরে রাত যাপন করেছেন।

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। টেকনাফ সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সেখানকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া জান্তা বাহিনী একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্থলে তাদের হয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সামনাসামনি লড়াই করছে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গত শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় মিয়ানমারের আকাশে বিমানের চক্করও দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মংডু টাউন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে বিমান থেকে। টেকনাফ পৌর ও সদর এলাকার পাশাপাশি সাবরাং ইউনিয়ন ও শাহপরীর দ্বীপে এ সময় মিয়ানমারের আকাশে যুদ্ধবিমান চক্কর দিতেও দেখা যায়।

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন জানান, মিয়ানমারের মংডু শহরের দক্ষিণ দিকের গ্রামগুলো থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে টেকনাফে। মর্টারশেল ও গ্রেনেড হামলার শব্দে কেঁপে উঠছে এপারের বাড়িঘর। বিস্ফোরণের শব্দে নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের ধারণা, মংডু শহরের দক্ষিণে উকিলপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া, হারিপাড়া ও ফাতংজা এলাকা ঘিরে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী এখন আকাশযোগে হামলা করছে। স্থলে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ ও শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে আসা বিকট বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফের লোকজন আতঙ্কে আছে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৭ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test