E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

যশোরের ফুটপাতে শীতের প্রস্তুতি, সাশ্রয়ী পোশাকে ক্রেতাদের ভিড়

২০২৪ নভেম্বর ২১ ১৯:৩২:৫৮
যশোরের ফুটপাতে শীতের প্রস্তুতি, সাশ্রয়ী পোশাকে ক্রেতাদের ভিড়

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোর শহরের মুজিব সড়কসহ বিভিন্ন স্থানের ফুটপাতগুলোতে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। বিকেলের পর থেকেই দোকানিরা সাজিয়ে রাখছেন সোয়েটার, হুডি, চাদর, গেঙ্গি, প্যান্ট ও টুপি। ক্রেতারা বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, এই ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন।সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এই সব দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে। ফুটপাতের এই দোকানে ৩০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে সোয়েটার, হুডি, গেঞ্জি, কানটুপি, মোজা, এবং হাতমোজার মতো প্রয়োজনীয় পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, বড় মার্কেটে একই পণ্য কিনতে অনেক বেশি খরচ হয়, যা তাদের নাগালের বাইরে। অন্যদিকে, ফুটপাতের পোশাকগুলো মান এবং দামের ক্ষেত্রে বেশি সুবিধাজনক।
গত বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাক বিক্রিতে ভালো সাড়া মিলছে। এই সব দোকানগুলোতে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার পোষাক বিক্রি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে বিক্রি আরও বাড়বে। যশোরের কালেক্টরেট মার্কেট এবং জেলা পরিষদ মার্কেটেও শীতবস্ত্রের কেনাবেচা জমজমাট। শীত যত বাড়বে, ক্রেতাদের আগমনও তত বাড়বে।

এদিকে ক্রেতারা জানান, ফুটপাতের দোকানে পণ্য কেনার সময় দরদাম করার সুযোগ থাকায় তাদের সুবিধা বেশি হয়। এই ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো শুধু পোশাক বিক্রির স্থান নয়, এটি শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের শীতের প্রস্তুতির মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সাদা-নীল আলোয় আলোকিত এই দোকানগুলো শুধু ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনস্থল নয়, বরং শীতকালীন অর্থনীতির চিত্রও ফুটিয়ে তুলছে। সাশ্রয়ী মূল্যের পোশাক ও চলমান শীতের উৎসব যশোর শহরকে এক ভিন্ন রূপ দিচ্ছে।

বিক্রেতা তাপস পাল বলেন, শীতের পোষাক বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। সব ধরনের মালের চাহিদা আছে। সামনে শীত পড়লে আরও বেশি বিক্রি হবে। এখানে ৩০ থেকে ৩০০ টাকার মাল বিক্রি হয়। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হচ্ছে।

শহরতলীর হাশিমপুর এলাকা থেকে ছেলের জন্য পোষাক কিনতে আসা মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, এখানকার পোষাকের মান একদম খারাপ না। ছেলের জন্য ১৩০ টাকা দিয়ে হুডি গেঞ্জি কিনলাম। শো রুমে গেলে এমন কোয়ালিটির একটা পোষাক কিনতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হত। এখানে অনেক গুলো দোকান বসে তাছাড়া অনেক ধরণের পোষাক পাওয়া যায়। নিজের সাধ্যের মধ্যে পছন্দ মত পোষাক ক্রয় করা সম্ভব।

বিক্রেতা রাকিব হোসেন বলেন, শীত বাড়ার সাথে বিক্রি ভালো হবে। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার বিক্রি করছি। সামনের দিনগুলো আরও বিক্রি বাড়বে। সন্ধ্যার পর ক্রেতার চাপ থাকে। কেনা বেচা যা হচ্ছে ভালোই।

কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, এই অস্থায়ী দোকান থেকে কম দামে পছন্দ মত পোষাক ক্রয় করা যায়। যাদের পোষাক কিনতে আলাদা বাজেট থাকে না তারা এখান থেকে সহজে পছন্দ মত পোষাক নিতে পারেন। সাধারণত নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য এই সব দোকান থেকে শীতের পোষাক ক্রয় করা সহজলভ্য।

(এসএ/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২২ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test