E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

পঞ্চগড়ের আটোয়ারিতে শুরু হলো মাসব্যাপী রাসমেলা

২০২৪ নভেম্বর ১৬ ১৭:১৬:১৯
পঞ্চগড়ের আটোয়ারিতে শুরু হলো মাসব্যাপী রাসমেলা

রহিম আব্দুর রহিম, পঞ্চগড় : গতকাল শুক্রবার রাতে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার ঐতিহাসিক রাসমেলার উদ্বোধন করছেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

আটোয়ারি রাস মেলার আয়ের অর্থ ব্যয় করা হয় জেলার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে। প্রতি বছর এই মেলার স্থান মীর্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজ মাঠ ঘিরে তার প্রসার ঘটে ওখানকার ফসল কাটা বিশাল কৃষি মাঠ। এবার তার ব্যতয় ঘটেনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। দেশের প্রায় শতাধিক মেলার মধ্যে আটোয়ারি রাসমেলা অন্যতম। যে মেলা চলে মাসব্যাপী।

এই মেলা ঘিরে পঞ্চগড় তথা উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী, ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রাণ ফিরে আসে। কুটির শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। যাদের সারা বছরের দুঃখ-কষ্ট দূর হয় পণ্য কেনা বেচার মাধ্যমে। স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের উৎপাদিত বিভিন্ন কারু ও হস্তশিল্প, বাহারি ধরনের মিষ্টি এবং খাদ্যজাত দ্রব্য ও ফলমূলের সয়লাব হয়ে যায় মেলা আঙ্গিনা।

এক সময় এই মেলায় রাতে পরিবেশিত হতো যাত্রাপালা, পুতুল নাচ, সার্কাস, জাদু প্রদর্শনী, বাউল এবং আখড়ার গানসহ লোকজ সাংস্কৃতি। মেলায় তখন এবং এখনও বেঁচা কেনা হয় বাহারি সব পণ্য। মেলার পসরায় জুটে নাড়ু, খুরমা, জুড়ি, গজা, মুড়ি-মুরকি, জিলাপি, মিষ্টি, বাতাসা, খাট-পালং, দা, কাস্তে-কোদাল, লাঙ্গল -জোয়াল, হাড়ি-পাতিল, ঢেঁকি ও বাসন-কোসন। শিশুদের খেলনা, হাতের তৈরি পাখা, বাঁশের বাঁশি। এছাড়াও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে, অত্যধুনিক পণ্য সামগ্রী।

মাসব্যাপী মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লাখো মানুষের মিলন ঘটে। এই মেলা যে শুধু অত্রাঞ্চলের মানুষের বিনোদন তা কিন্তু নয়। মেলা দেশের বাঙালিদের আদি রূপ, সৌন্দর্য, সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। যে কোন মেলাই একেবারেই প্রান্তিক জন মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বাঙালি জাতির আত্ম পরিচয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। যার মাধ্যমে আধুনিক যুগে আমরা যেমন নিজস্ব সংস্কৃতির প্রসার ও বিকাশ ঘটাতে পারি, তেমনি স্থানীয়ভাবে মেলার আয়োজন করে টিকিয়ে রাখতে পারে আমাদের সৃষ্টি, উৎপাদন, ধর্ম, কর্ম, সংস্কৃতি এবং নির্মল বিনোদন। একই সাথে গড়ে তুলতে পারি প্রাণবিক এবং মানবিকতার মহাবলয়।

(আরএআর/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test