E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ধামরাইয়ে বাবা লোকনাথ মন্দিরে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বাৎসরিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

২০২৪ নভেম্বর ০৯ ২০:০১:১৪
ধামরাইয়ে বাবা লোকনাথ মন্দিরে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বাৎসরিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : শনিবার সন্ধ্যায় ধামরাই কায়েত পাড়ায় মাধব বাড়ি সংলগ্ন লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দির আশ্রমে দেশ, জাতি ও নিজের মনোবাসনা পূর্ণ করতে কার্তিক ব্রত রাখের উপবাস পালনে বাৎসরিক ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন উৎসবে অংশ নিয়েছে ধামরাই ও তার আশ-পাশের উপবাসি হাজারো নারী ও পুরুষ। এদের মধ্যে ৯৫ ভাগই অংশ গ্রহন করেছে সব বয়সের নারী।

ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্টানের শুভ উদ্ধোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ নন্দ লাল সূত্রধর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের, ঢাকা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঐতিহ্য মাধব মন্দিরের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন। ওই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধামরাই তামা কাসা শিল্পের কর্ণধার সুকান্ত বণিক। আরো উপস্থিত ছিলেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দির আশ্রমের সভাপতি শ্যামল ঘোষ, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ পাল, পরিতোষ পাল সহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ।


প্রতি বছরের ন্যায় বাংলা কার্তিক মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শনিবার অত্যন্ত আর্কষনীয় ধর্মীয় এই উৎসব পালন করে হিন্দু সমপ্রদায়ের সাধক পূরুষ বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ভক্ত বৃন্দরা।পরিপাটি এই অনুষ্ঠানে হাজারো ভক্ত নারীরা উপবাস থেকে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাদের মনোবাসনা পূর্ন লাভে এ উৎসবে অংশ নেন।

আগত ভক্ত বৃন্দরা সারা দিন নির্জলা উপবাস থেকে তাদের ব্রত পালনে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র পড়ে বিকেল চারটা থেকে মাধব মন্দির প্রাাঙ্গন,ও তার সংলগ্ন বাবা লোকনাথ মন্দির প্রাঙ্গন ও সামনের দীর্ঘ পথ ও মাঠ জুড়ে সাড়িবদ্ধ ভাবে নিরবে মনোবাসনা পূরণ করতে মেয়েরা প্রার্থনায় বসেন। প্রদীপ জ্বালানোয় সামনে সাজিয়ে রাখা হয় মোমবাতি ও ঘি, তৈল প্রদীপ, ডাব, ফুল ফল বাতাসা-মিষ্টি নিয়ে রাত আটটা পর্যন্ত এই ব্রত পালন করার মানসে।

লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার খরম ভক্তদের দুুধ দিয়ে ধৈত করন শেষে সন্ধ্যায়“মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে দাও” গানের সুরের মূর্ছনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এক সাথে সকল ভক্তরা । অভুত পূর্ব এই প্রার্থনা দৃশ্য ও প্রদীপ প্রজ্জলন অনুষ্ঠানের নিরবতা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ছিল উপভোগ করার মত

নন্দ গোপাল সেন বলেন টনসবত বিকেল শেলে গোধুলী বেলায় মহিলাদের উলু ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠে প্রার্থনাস্থল।ঠিক সন্ধ্যার শুরুতেই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বাতী নিভিয়ে মোমের আলোয় এক নির্মল ও অভূতপূর্ব এক পরিবেশের সৃষ্টি করে। এর পর শুরু হয় মনোবাসনা পূর্ণলাভে প্রার্থনা কর্ম। যে পর্যন্ত ঘিয়ের প্রদীপ ও মোমাতি জ্বলবে সে পর্যন্ত কেউ কথা বলবেনা। এ নিয়ম শেষে মন্দির থেকে প্রদানকৃত প্রসাদ রাত আটটার দিকে গ্রহনের পর উপবাস ভঙ্গ করে প্রার্থনারত ভক্তরা সবাই গৃহে ফিরেন।

(ডিসিপি/এএস/নভেম্বর ০৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test