E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’

মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ব্যাহত, দু’টি জাহাজে সার খালাস বন্ধ

২০২৪ অক্টোবর ২৪ ১৮:১১:৫৪
মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ব্যাহত, দু’টি জাহাজে সার খালাস বন্ধ

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাগেরহাট জেলাসহ মোংলা সমুদ্রবন্দর ও সুন্দরবন জুড়ে থেকে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ইতিমধ্যেই সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের মৎস্য বন্দরগুলোতে শত শত ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সড়িয়ে নেওয়া জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ‘গ্রেট বিউটি’ ও ‘হুয়া ইয়ং মেই গুই’ নামের দুটি বিদেশী পতাকাবাহী দুটি জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য খালাস ও পরিবহন বৃষ্টির কারণে দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে মোংলা বন্দরে ৯ নম্বর জেটিতে নিরাপদে আশ্রয়ে নোঙর করে রয়েছে নৌবাহিনীর দুটি ও মোংলা নৌঘাঁটিতে আরো দুটি যুদ্ধজাহাজ। বিএনএস শাপলা, বিএনএস শৈবাল, বিএনএস প্রত্যাশা ও বিএনএস স্বাধীনতা নামে এই চারটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মোংলায় আসে।

মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব এলার্ট ওয়ান জারি করেছে। এলার্ট বাড়লেই তখন বন্দরে সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে।

সুন্দরবনের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, দিনভর ভারি বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনে। এছাড়াও স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীখালে কয়েকশত ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মাদ আল বেরুনী জানান, জেলার প্রায় ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ন বেড়িবাঁধ রক্ষায় পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ও ব্লক প্রস্তত আছে। বিভিন্ন পোল্ডারের বাঁধগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী সভা করে ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয় আশ্রয় কেন্দ্র, ৮৪টি মেডিকেল টিম। দূর্যোগ মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপি’র ৩ হাজার ৫০৫জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৮ শত মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা মূল্যের শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি পৌছালে জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫১জনকে নিয়ে আসা হবে।

(এসএস/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ অক্টোবর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test