E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ধামরাইয়ে লক্ষ্মী পূজা শেষে বৃহৎ বির্সজন মেলা 

২০২৪ অক্টোবর ১৯ ১৭:২১:১৪
ধামরাইয়ে লক্ষ্মী পূজা শেষে বৃহৎ বির্সজন মেলা 

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ের বেরশ গ্রামে লক্ষ্মী পূজার বৃহৎ বির্সজন মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয় শত বছর ধরে। এবার ধামরাইয়ের এই বাইশাকান্দা বেরশ গ্রামে যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা বড় আয়োজনে শারদীয় উৎসব শেষে পূর্ণিমা তিথিতে ঐসৌর্য ও ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর বির্সজন মেলা গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এ বির্সজন উৎসব দুপুরের পর থেকে রাত গভীর পর্যন্ত চলেছে। গ্রামীণ জনপদে এমন বড় আকারের মেলায় লাখো ভক্ত দর্শনার্থীদের ভীড়ে ব্যাপক কোলাহল মূখর হয়ে উঠেছিল।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার একটি পৌর সভা ও ১৬ টি ইউনিয়নে প্রায় প্রতিটি গৃহে ও সার্বজনীনভাবে এ পুজার আয়োজন করে পূজারীরা। এর মধ্যে ঢাকার ধামরাই বেরশ গ্রামে সব চেয়ে বড় আকারে আয়োজন হয়।

এই অঞ্চলের বেরশ সহ কয়েকটি গ্রামে বড় আয়োজনে ২৫-৩০টি মন্ডপে প্রতি বছর অনূষ্ঠিত হয়ে থাকে লক্ষ্মী পূজা। এর মধ্যে বেশীর ভাগই ব্যক্তিগত ভাবে হয়ে থাকে বেরশ গ্রামে। হাজারো ভক্ত নর-নারীদের অংশ গ্রহনে এই পুজা উৎসবাট ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর। আর এই প্রতিমা বির্সজন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় মেলা।

আজ শনিবার বিকেলে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউপির বেরশ গ্রামে বির্সজন স্থলে মন্দির থেকে প্রতিমা গুলি শারদীয় উৎসবের মতোই একে একে বির্সজন স্থলে আনা হয়। মেলাঙ্গনে বিভিন্ন দোকান প্রসার, নাগর দোলা, দোলনা নৌকা চড়ে সব শ্রেণীর ও বয়সের মানুষ আনন্দে মেতে উঠে।

এলাকার এক জন পুজারী উচ্ছ শিক্ষা অর্জনরত শপ্তর্শী রায় জানান, ছোটো বেলা থেকেই দেখে আসছি উৎস্ মূখরতায় লক্ষী পুজা হয়ে আসছে। তবে এই গ্রামে শিক্ষিত মানুষের বসবাস থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারনে ও পাকা সড়ক না থাকায় উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা চরম বিপাকে পড়ে। আধুনিক যোগে এমন গ্রাম এখন অন্যত্র দেখা যায়না,যা বেরশ ও পাইছাইল সহ আশপাশের গ্রামে রয়েছে। দ্রুত যোগাযোগ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের প্রযোজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন জরুরী বলেন।

পূজা উৎসবের ৩ দিন পর শনিবার বেরশ মাঠে দিন ব্যাপী বির্সজন উপলক্ষে মেলা বসেছে রাত পর্যন্ত মেলায় ভীড়। প্রতি বছর বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বির্সজনস্থলে ঢাক-ঢোল, কাসর ঘন্টা বাদ্যের তালে ও মহিলাদের উলুধ্বনিতে মূখরিত হয় মেলাঙ্গলন। পূজার্চনা ও আরতি নৃত্য শেষে রাতে স্থানীয় জলাশয়ে প্রতিমা বির্সন কার্য সম্পন্ন করা হয়।

বেরশ গ্রামের পাশেই পাইছাইল গ্রাম এ গ্রামের লক্ষণ চন্দ্র রায় এর তার এলাকার মহাদেব বাড়ি কালী মন্দিরের পক্ষ থেকে বিশাল আয়োজনে লক্ষ্মী পুজার আয়োজন করেছে। এ আয়োজনে ৫০ জন যুবক স্থানীয় মাতব্বরদের সহযোতিায় পূজার আযোজন করেন। তিনি বলেন, বেরশ সহ এ অঞ্চলে শতাধিক বছর ধরে শারদীয় উৎসব শেষে পুির্ণমা তিথিতে লক্ষ্মী পূজা হচ্ছে। আজো চলছে বলেন। এই পূজায় ধামরাই সহ দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন উপভোগ করতে।

বেরশ পূজা ও মেলা উৎসব কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা জগদিশ চন্দ্র সরকার বলেন, বেরশ গ্রামে এ পুজা উৎসব যুগ যুঘ ধরে চলে আসছে। শারদীয় উৎসব শেষে লক্ষ্মী পূজার এ আযোজনে গ্রামীণ জনপদের মানুষেরা আমাদের সাথে সার্বজনীন ভাবে উৎসব মুখরতায় অংশ নেন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এ উৎসব পালন করছি।

(ডিসিপি/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test