E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

বীর নিবাস আত্মসাৎসহ পুড়িয়ে মারার শঙ্কায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন সেক

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৯:০৫:৫৯
বীর নিবাস আত্মসাৎসহ পুড়িয়ে মারার শঙ্কায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন সেক

স্টাফ রির্পােটার, টাঙ্গাইল : নিজ ক্রয়কৃত জমিতে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত বীর নিবাস আত্মসাৎসহ আগুনে পুড়িয়ে মারার শঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্ত বৃদ্ধ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন সেক (৮২)। থানায় একাধিকবার মামলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের। নিরাপত্তাসহ বীর নিবাস ও বসবাসরত জমি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করে চেয়েছেন নিরাপত্তা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড খাগজানা গ্রামে মৃত. তায়েজ উদ্দিনের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন সেক। রবিবার বেলা ১১টায় সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত বক্তব্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন সেক বলেন, ওই গ্রামের মৃত. তায়েজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫), মৃত. আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আনিছুর রহমান (৪০), মৃত. আরফানের ছেলে মো. সবুর মিয়া (৪৮) মৃত. আবেল সেক ওরফে আবুল হোসেনের ছেলে মো. বরকত আলী (৬) ও জিন্নত আলী (৪৭) নামক ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তারা দলবদ্ধ হয়ে বেশকিছুদিন যাবৎ হামেলা নামীয় বি এস রেকর্ডভুক্ত ২১৭৪ দাগের ১৪৯৬ বি আর এস খতিয়ানের আমার ক্রয়কৃত ২০ শতাংশ জমির উপর সরকারি অর্থায়নের নির্মিত বীর নিবাস আত্মসাতের পায়তারা চালিয়ে আসছে। আত্মসাতের চেষ্টা ও আমাকে মেরে ফেলার জন্য গত ১২ এপ্রিল তারা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে স্থানীয় বাজারে আক্রমনের চেষ্টা চালায়। তবে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় হামলাটি চালাতে ব্যর্থ হয় তারা। এ সময় তারা আমিসহ পরিবারের সকলকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে ২৩ মে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘ক’ অঞ্চল আদালতে পি-৫৯৩/২০২৪ নং ফৌ: কা: বি: আইনের ১০৭/১১৭ (গ) ও ৫ সেপ্টেম্বর ফৌ: কা: বি: ১৪৫ ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করেছি।

অভিযুক্ত মো. আবুল কাশেম বলেন, আব্দুল হামিদের রেকর্ডকৃত ২১৭৪ দাগের ৩৯১ খতিয়ানের ৩৩ শতাংশ জমি থেকে সাড়ে ১১ শতাংশ জমি আমি কিনি আর ১৫ শতাংশ জমি কিনেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন। বাকি ৭ শতাংশ জমির মালিক পক্ষের দখলে রয়েছে। ভূলবশত ২১৭৪ দাগের জমি হামেলার নামে রেকর্ড হওয়ার সুযোগ নিয়ে তিনি এখন আমার জমি নিজের বলে দাবি করাসহ সরকারি বীর নিবাস নির্মাণ করিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন। যদিও উনার ক্রয়কৃত জমির দাগ ২১৭৫ আর খতিয়ান ১৪৯৬। আমার জমি দখল করার পায়তারায় দফায় দফায় মামলা করে আমাকে হয়রানী করছেন তিনি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, অভিযোগ না নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আদালতের নির্দেশ ছাড়া জমি উদ্ধার বা জমি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থানায় নেয়া হয়না, তবে মারামারির অভিযোগ হলে অবশ্যয় নেয়া হত বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কাদেরিয়া বাহিনীর অন্যতম মুক্তিযোদ্বা মজিদ, মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিনের ছোট দুই বোন নিলুফা ও ছবিয়াসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(এসএএম/এএস/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test