E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

পুলিশের ২০টি যানবাহনে ভাংচুর ও আগুন, স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারছেনা পুলিশ

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০৬ ২০:২০:৫০
পুলিশের ২০টি যানবাহনে ভাংচুর ও আগুন, স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারছেনা পুলিশ

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : কেন্দুয়া থানা পুলিশের ২০টি যানবাহনে ভাংচুর ও আগুনের ঘটনার ফলে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারছেনা পুলিশ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দুর্বৃত্তরা অগ্নি সংযোগ, হামলা ও ভাংচুর করে কেন্দুয়া থানায়। ওই দিন বেলা ৩ টার দিকে এক দল দুর্বৃত্ত বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রে হাতে নিয়ে অতকিত ভাবে কেন্দুয়া থানায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় তারা পুলিশের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এছাড়া ভাংচুর করে ১৬টি মোটরসাইকেল ও দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ। এ ঘটনায় পুলিশের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে সে সময়ে তারা কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি। এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশের ব্যবহৃত এসব যানবাহন সঠিক ভাবে মেরামত না হওয়ায় স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ফিরতে পারছেনা পুলিশ। অনেকাংশে পুলিশের মনোবলও ভেঙ্গে গেছে।

৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে কথা হয় কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দের সাথে। তিনি ৫ আগস্ট বিকেলে দুর্বৃৃত্তদের তান্ডবে কেন্দুয়া থানা পুলিশের দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ, ১৬টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া আরও দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাসহ থানা কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের বিষয় তুলে ধরে বলেন, আমরা সেদিন খুবই অসহায় ছিলাম। এমন একটি অবস্থার মুখে পরতে হবে তা কোনদিন ভাবিনি। দুটি ডাবল পিকআপের ভাংচুরের ফলে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যে ১৬টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে সেগুলো মেরামত করতেও প্রতিটি মোটরসাইকেলের বিপরীতে অন্তত ১৫ হাজার টাকা করে খরচ করতে হবে।

এছাড়া যে দুটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এর একটির মূল্য হবে আড়াই লাখ টাকা এবং অপরটির মূল্য হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সেসব সমস্যা ক্রমশ কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। তবে যানবাহন স্বল্পতার কারণে আমরা এখনও স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ফিরতে পারছিনা।

তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে একটি ডাবল পিকআপ দেওয়া হয়েছে এবং ভাংচুর করা দুটি ডাবল পিকআপ মেরামতের জন্য সেখানে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, থানা কার্যালয়ের ভাংচুর ও থানা ভবনের কিছু অংশ আগুনের ধোঁয়ায় বদরং ধারণ করায় স্থানীয় সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞার মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে। তাছাড়া বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম হিলালী ও মজনুর রহমান খন্দকার ঘটনার পরপরই এসে আমাদের কে শান্তনা দিয়েছেন । সেই সাথে দুর্বৃত্তদের ন্যাক্কার জনক এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছেন। ওসি মিজান বলেন, আমাদের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ফিরে আসতে সমাজের সকল মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে।

পুলিশের প্রতিটি নিরপেক্ষ কাজে জনগনের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। বিএনপি নেতা কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞার ভাষা থানায় দুর্বৃত্তরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার নিন্দা জানাই। তাছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি হিসেবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুক পেরেছি ততটুকু সহযোগিতা করেছি।

(এসবিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test