E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

সুবর্ণচরে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর, আহত ৬

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:০১:২০
সুবর্ণচরে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর, আহত ৬

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি করার প্রতিবাদ করলে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়। আহতরা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহতরা হলেন, চর জুবলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড দক্ষিন কচ্চপিয়া গ্রামের হানিফের পুত্র মহিষ বেপারী আব্দুল হাই ওরপে আলমগীর বেপারী (৩২) , তার ছোট ভাই আব্দুল কাদের (৩৮) তার পিতা মোঃ হানিফ (৫৮), হানিফের স্ত্রী নজিফা খাতুর (৫০), খুরশিদের স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৪০), আলমগীরের স্ত্রী আমেনা বেগম (২৮)।

গতকাল রবিবার রাত ৯ টায় চরজুবিলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিন চর মহি উদ্দিন গ্রামের ডাবনার সমাজে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ভুক্তভোগী মহিষ ব্যবসায়ী আব্দুল হাই ওপরে আলমগীর বলেন, ১সেপ্টেম্বর দক্ষিন সেলিম বাজারে তিনি ব্যবসায়ীক কাজে যান সন্ধ্যার পর ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিন চর মজিদ গ্রামের হক সাহেবের পুত্র পারভেজ (২৪), জসিম বেপারীর পুত্র নুর উদ্দিন (২২), তাকে জিম্মি করে হুন্ডায় তুলে ডাবনার সমাজে বেচুর দোকান নিয়ে নিয়ে যায়, সেখানে তার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আমি দিতে অস্বিকৃতি জানালে দক্ষিন চর মহিউদ্দিন গ্রামের হক সাাহেবের পুত্র পারভেজ, জসিম বেপারী নুর উদ্দিন, মজল হকের পুত্র মোঃ ফারুক মাষ্টার (৪০), কামাল উদ্দিন (৩৬), রফিকের পুত্র হারুন (২২), খলিল উল্যাহর পুত্র সুমন (২১), মাইন উদ্দিনের পুত্র মামুনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে খবর পেয়ে আলমগীরের বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন মারধরের সময় আমার সাথে থাকা ৩৮ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং আমার ব্যবহারিত হোন্ডাও তারা নিয়ে যায়, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফারুক মাষ্টার মুঠো ফোনে বলেন, ৪/৫ মাস আগে আমার গরু চুরিকে কেন্দ্র করে একটি সালিশ হয় সে সালিশে আলমীগের কাছে আমি টাকা পায় সে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য তাকে ডেকে আনা হয়, তার কাছে টাকা চাইলে গালমন্ধ করে এতে আমার ভাগিনারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ঘুষি মারলে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয় পরে তার আত্বীয়রা এসে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হলে মারধর শুরু হয় সেখানে অনেক লোক ছিলো কে কিভাবে আহত হয়েছে জানিনা, আমার বাগিনা যেটা করছে সেটা ঠিক হয়নি, আলমগীরকে মারার সময় আমি ছিলাম না। আমি পরে এসে দেখতে পেয়ে তাদেরকে আলাদা করে দেই।

অভিযুক্ত পারভেজ মারধরের কথা স্বিকার করে বলেন, ফরুকের নির্দেশে সেলিম বাজার থেকে আমরা আলমগীরকে নিয়ে আসি ডাবনার সমাজে সেখানে তার কাছ থেকে পাওনা টাকা চাওয়া হলে সে গালমন্ধ করে এমন সময় নুর উদ্দিন তাকে কিলঘুষি মারে আমিও হাত দিয়ে মারি।

ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল হকের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটানোর পর আমি তাদেকে বলেছি তোমরা তাকে মারলে আমাকে ডাকছো কেন তোমরা কাজটা ঠিক করোনি, আমি সব কথা বলতে পারবোনা আমার দলীয় সমস্যা আছে। অনেক লোক সেখানে ছিলো আপনি এসে জানতে পারেন।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test