E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ভৈরবে নির্মাণাধীন মাদ্রাসা ও মসজিদ ভাঙচুর, ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

২০২৪ জুলাই ২৫ ২০:৩০:১৬
ভৈরবে নির্মাণাধীন মাদ্রাসা ও মসজিদ ভাঙচুর, ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নির্মাণাধীন দারুল আমানাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের পর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগটি করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শেখ জাহাঙ্গীর আলম। ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ভৈরব পৌর শহরের হাজী আসমত কলেজ রোড গাছতলাঘাট এলাকায়। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই দুপুরে ও ২০ জুলাই দুপুরে দু’দফায় নির্মাণাধীন মাদ্রাসাটি ভাঙচুর করে ৫ জন চাঁদাবাজ। এ সময় তারা নির্মাণাধীন মেইন গেইট নির্মাণ সামগ্রী কয়েকটি গ্রীল, বাথরুমের কমট, পানির মোটর, লোহার এ্যাঙ্গেল, বেসিনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও কিছু আসবাবপত্র লুট করেছে। চাঁদাবাজরা হলো পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪২), ঘোড়াকান্দা এলাকার ছাত্তার মিয়ার ছেলে লোকমান হোসেন (৩৪), একই এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৩২), চন্ডিবের এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে জুনেল (২৯), ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার আব্দুল বারিক মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম (২৮)।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ৭০ লাখ টাকা দিয়ে মাদ্রাসার জন্য জমি ক্রয় করেছি। কালামগংদেরও আমি অনেক টাকা দালালী দিয়েছি। কিন্তু আমি যখন মাদ্রাসা নির্মাণ করতে শুরু করি তখন কালামগংরা আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় দা, বল্লম, লাঠিসোটা নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার নির্মাণাধীন মাদ্রাসটি ভাঙচুর করে। ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি নিরুপায় হয়ে ভৈরব থানায় ২৩ জুলাই মঙ্গলবার একটি অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার শুভাকাক্সক্ষী তানভীর আহমেদ জানান, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে আমরা সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু কালামগংরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা টাকা না দেয়ায় আমাদেরকে হাত, পা কেটে ফেলাসহ নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালাম জানান, জমিটি আমার মাধ্যমে বিক্রি করেছি। আমাকে ৪০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। জায়গার দাম প্রায় ১ কোটি টাকা। তাই আমি বাকী টাকা দাবী করেছি। জায়গায় নির্মাণাধীন ভবনটি আমার। কাজ করতে গিয়ে আমি ভেঙ্গে দিয়েছি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(এসএস/এএস/জুলাই ২৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test