E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কালকিনিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ৮

২০২৪ জুলাই ১১ ১৮:৩০:৩০
কালকিনিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ৮

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. সাজ্জাদ হাওলাদার (২৮) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

নিহত সাজ্জাদ হাওলাদার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের ছেলে। সাজ্জাদ পেশায় একজন স্যানেটারি ব্যবসায়ী ছিলেন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার আসাদ হাওলাদার (৩৬), মনির হাওলাদার (৪৪), খলিল হাওলাদার (২৫), জাহানারা বেগম (৬০), কালু হাওলাদার (৫২), স্বপন হাওলাদার (৬০) প্রমুখ। আহতরা বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের সঙ্গে একই এলাকার হারুন হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে এলাকায় কয়েক দফা সালিশও হয়। এরপরেও জমি দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হারুণ হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে কালু হাওলাদারের ওপর হামলা চালায়। এরপরেই দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের আহত হয় ৮ জন। এরমধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদ হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের বাবা কালু হাওলাদার বলেন, হারুন হাওলাদার লোকজন নিয়ে আমাদের জমি দখলে নিতে আসেন। পরে তাদের বাঁধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেয়ার পরে আমার ছেলে মারা যায়। যারা আমার ছেলেকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই।

নিহতের চাচা আবদুল হক হাওলাদার বলেন, হারুন হাওলাদারের নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা চালিয়ে সাজ্জাদ হাওলাদারকে দা দিয়ে প্রথমে মাথায় কোপ দেয়। পরে সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমরা কোনভাবেই এ ঘটনা মানতে পারছি না। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই, ফাসি চাই।

অভিযুক্ত হারুন হাওলাদার বলেন, আমাদের ওপর তারা প্রথমে হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধ করেছি মাত্র। আমরা কারো কোন জমি দখল করতে যাইনি। আমাদের বিপদে ফেলতে তারা মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও কালকিনি সার্কেল) মো. আলাউল হাসান বলেন, বুধবার দুপক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে একদফা মারামারি হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও দুপক্ষ মারামারি করে। একপর্যায়ে সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনাস্থল বরিশালের সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ কারণে আহতরা বরিশাল মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। এলাকায় হামলাকারীরা কেউ নেই। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

(এএসএ/এসপি/জুলাই ১১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test