E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

প্রভাষক উজ্জ্বলকে ফাঁসাতে নারীর ফাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা

২০২৪ জুলাই ০৮ ১৮:৪৩:৪৯
প্রভাষক উজ্জ্বলকে ফাঁসাতে নারীর ফাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : প্রভাষক উজ্জল আলী, সামাজিক মানুষ হিসাবে বেশ পরিচিত ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়। তার বাড়ি উপজেলার কাতলাগাড়ি গ্রামে। এই মানবিক মানুষকে নিয়ে দেশের কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া সংবাদ মাধ্যম মুখরোচক সংবাদ প্রচার করেছে। যা ইতোমধ্যে অনলাইনে ব্যাপক ভাইরাল। তবে এই সংবাদ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই কি উজ্জল আলী মানবিক কাজের আড়ালে একজন খারাপ মানুষ? নাকি ঘটনার পেছনে রয়েছে অন্য ঘটনা। 

তথ্য সুত্র বলছে- একসময় মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের প্রভাষক হিসাবে চাকুরী করেছে উজ্জল আলী। ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবির সাথে আভ্যন্তরিন বিরোধে স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে দেন উজ্জল। পূর্ব বিরোধিতায় উজ্জলকে ধরাশায়ী করতে চক্রান্তের ফাঁদ পাতে ওই শিক্ষকসহ স্থানীয় কুচক্রী মহল। নানা সময় হেয়প্রতিপন্ন করতে গেলেও সফল হয়নি তারা। সবশেষ নারী ফাঁদে আটকতা উজ্জলের সাথে কয়েকজন ছাত্রী মেসেঞ্জারে যোগাযোগ শুরু করে। নারীর অবচেতন মনকে প্রশ্রয় দেয় উজ্জল। তবে ভয়ংকর ফাঁদ বিস্তার করেছে কুচক্রীমহল সেটা ঘুর্ণাক্ষরেও টের পায়নি উজ্জল। মেসেঞ্জারে রোমান্টিক কথাবার্তার রেকর্ড করে ওপাশে থাকা নাবিহা সহ ষড়যন্ত্রকারীরা। তারা জানতো প্রভাষক উজ্জল আলীকে নারী ফাঁদ বাদে অন্যভাবে আটকালে সফল হওয়া যাবে না।

সবশেষ ঘটনার দিন ২রা জুলাই পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক মোহাম্মদপুর এলাকার কাদেরিয়া মাদ্রাসার সামনে উজ্জ্বল কে দেখা করতে বলে ওই ছাত্রী। সেখান থেকে পাশের একটি খোলা ভবনে কথা বলার অনুরোধ করে। তাৎক্ষনাত পরিস্থিতি বুঝতে পেরে উজ্জল সরে যেতে চাইলে স্থানীয় ১৫/২০ জন বখাটে যুবক উজ্জলকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। পরে ওই ছাত্রীকে দিয়ে লাঞ্চিত করে ভিডিও ধারণ করে। এক পার্যায়ে মোটা টাকার বিনিময়ে আপোষের কথা বললে উজ্জল অস্বীকৃতি জানালে আবারও চড়াও হয় তারা। পরে উজ্জলের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সহ গুরুত্তপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ এসে উজ্জলসহ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণপর পরিকল্পপনাকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির উপস্থিত হন। পরে সেখানে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সকল পরিকল্পনার কথা খুলে বলে ওই ছাত্রী। থানা থেকে সুরাহা শেষে বাসায় ফিরে আসলে একটি পত্রিকার রির্পোটার উজ্জলকে ফোন দিয়ে দেখা করার অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে উজ্জল ওই রির্পোটারে সাথে দেখা করে। পরে ওই রির্পোটার অবরুদ্ধের সময় ভিডিও দেখিয়ে অর্থ দাবি করে। রির্পোটারের সাথে সুরাহা না হলে ঘটনার ৩দিন পর ৫ জুলাই মনগড়া সংবাদ প্রকাশ হয় বেশকয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে। যা ইতোমধ্যে অনলাইনে ভাইরাল। আর এ সংবাদ প্রকাশের পর মুখরোচক গল্পের খোরাক সৃষ্টি হয় মানবিক খ্যাত উজ্জলের এলাকাজুড়ে।

এদিকে এ ঘটনা পুরোপুরি সাজানো নাটক বলে জানিয়েছে থানায় উপস্থিত প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদপুর এলাকাবাসী।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানান, থানা থেকেই সকল ভুল বোঝাবুঝির সমাধান হয়েছে। তবে কি কারণে এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেছে সেটি বোধগম্য না।

(এসআই/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test