E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে মারপিট 

২০২৪ জুলাই ০২ ১৮:১০:৫৬
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে মারপিট 

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিপুল রায় (৫০) নামে ধর্ষণ মামলার এক সাক্ষীকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ। 

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের পূর্ব ধারাবাশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিপুল রায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি পূর্ব ধারাবাশাইল গ্রামের মৃত হরিদাস রায়ের ছেলে।

জানা গেছে, ২০২২সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ধারাবাশাইল গ্রামের ভরত বিশ্বাসের ছেলে সুধীর বিশ্বাস (৪২) সহ ৪ জনে মিলে বিপুল রায়ের কলেজ পড়ুয়া ভাতিজি নিপা রায়কে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পরের দিন মনের কষ্টে কলেজ ছাত্রী নিপা রায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিপা রায়ের আত্মহত্যার পর তার পিতা নিপুল রায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে সুধীর বিশ^াসসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার ১নং সাক্ষী হচ্ছেন মামলার বাদী নিপুল রায়ের বড় ভাই বিপুল রায়।

দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর আগামী ১৫ জুলাই আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার ১নং সাক্ষী বিপুল রায়।

তিনি বলেন, আমি যাতে সাক্ষী দিতে না যাই তার জন্য সুধীর বিশ্বাসসহ অন্য আসামীরা আমাকে নানা ভাবে প্রলোভন দিয়ে আসছিল। এই প্রলোভনে আমি রাজি না হওয়ায় সুধীর বিশ্বাসসহ অন্য আসামীরা আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে।

মামলার বাদী নিপুল রায় বলেন, মামলা করার পর থেকেই আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে আসামীরা নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে আসামীরা আমার বড় ভাই বিপুল রায়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আসামীদের হাত থেকে বাঁচতে ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানার জন্য সুধীর বিশ্বাসসহ অন্য আসামীদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রহিম খান (৩০) ও কামরুল খান (৪০) নামে দুই ভাইকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ লেবু শেখ এবং তার লোকজন।

সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের চিত্রাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার রহিম খান ও কামরুল খান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা দু’জন চিত্রাপাড়া গ্রামের সুলতান খানের ছেলে। অপরদিকে লেবু শেখ একই গ্রামের কলম শেখের ছেলে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, রহিম খান ও কামরুল খানকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লেবু শেখকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল রায়কে মারধরের ঘটনার কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(টিবি/এসপি/জুলাই ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test