E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

দুর্নীতির দায়ে চাকরি হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা এএসপি ইয়াকুব

২০২৪ জুলাই ০১ ১৫:০৯:২০
দুর্নীতির দায়ে চাকরি হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা এএসপি ইয়াকুব

রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : দুর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে ইয়াকুব হোসেন নামে বাংলাদেশ পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)-কে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।  ইয়াকুব সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।

রবিবার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি একটি প্রজ্ঞাপনে ইয়াকুব হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার কথা জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইয়াকুব হোসেন এর আগে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই সময় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি নিজস্ব টিম গঠন করেন। এই টিমের সদস্য ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আবদুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল ও কনস্টেবল অনিক প্রমুখ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি এসআই জীবন বিশ্বাস ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মিরপুর পৌর এলাকার মোশারফপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে প্রবেন করেন। সেখানে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজা মায়া নামের এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। তখন পুলিশ সদস্যরা তাঁদের অবৈধ কাজ করার অভিযোগে হাতকড়া পরিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং তাঁদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছবি তোলেন।

পরে মিরপুর বাজারের সোহেল রানা নামক এক মুঠোফোনে অর্থ লেনদেন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ওই দুজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেন।

বিষয়টি এএসপি ইয়াকুব হোসেন অবগত থাকা সত্ত্বেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার টিমের সদস্যের অপকর্মে সহায়তা করেন।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন এবং তাঁর জবাব পর্যালোচনা করা হয়।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা যথাযথভাবে তদন্ত শেষে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এএসপি ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে 'বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান' বিষয়ে সম্মতি দেন। অত:পর, রবিবার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইয়াকুব হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

(আরআর/এএস/জুলাই ০১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৩ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test