E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

‘দেশে কেউ বা পাচ্ছে না পেটের ভাত, কেউ বা উচ্চ বংশীয় গরু ছাগল কেনায় ব্যস্ত’

২০২৪ জুন ২৯ ২৩:১৩:৫০
‘দেশে কেউ বা পাচ্ছে না পেটের ভাত, কেউ বা উচ্চ বংশীয় গরু ছাগল কেনায় ব্যস্ত’

রিয়াজুল করিম, রাজবাড়ী : একদিকে দেশের সিংহভাগ মানুষ যখন পেটের ভাত জোগাড় করতে খাচ্ছে হিমশিম, আরেকদিকে উচ্চ বংশীয় লুটপাটকারী শকুনেরা ফুর্তিতে উচ্চ বংশীয় গরু ছাগল কেনায় ব্যস্ত। রাজবাড়ী সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির দি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

এ সময়, বক্তারা আরও বলেন- বর্তমানের দূঃশাসনের সরকার তার দলীয় লোক ও প্রশাসন দিয়ে লুটপাটের মহোৎসব শুরু করেছে। দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তারা কত টাকা বেতন পায়? যে তরা হাজার বিঘা শত শত বিঘা সম্পত্তি, আলিশান বাড়ি গাড়ি করেছে! সরকারের মদদ ছাড়া এতসব দুর্নীতি করা সম্ভব?

তারা আরও বলেন, পাকিস্থান আমলে বাইশ পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আর এখন তা বাইশ হাজারে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিনই দেশে দরিদ্রদের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে সরকারের কোন নজর নেই। আমরা যারা বামপন্থী আছি এই লড়াই আমাদেরকেই চালিয়ে যেতে হবে। দেশে সমাজতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে হলে বাম বিকল্প শক্তি হিসাবে কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে।

শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় রাজবাড়ী উদীচী কার্যালয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রাজবাড়ী সদর উপজেলা কমিটির দি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দুনিয়ার মজদুর এক হও। ‘দুঃশাসন হঠাও, ববস্থা বদলাও’ শ্লোগানের মধ্যদিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুস সামাদ মিয়া।

কমিউনিস্ট পার্টির সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বাবুর সঞ্চালনায় সম্মেলন সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, নিমাই গাঙ্গলী, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবন চক্রবর্তী, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মো. মোস্তফা।

এ সময় আরো বক্তৃতা করেন, জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহদত হোসেন, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মন্ডল, জেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি মুজিব আলম বকুল, গোয়ালন্দ উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পদক মজিবর রহমান, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উৎসব চক্রবর্তী প্রমুখ।

সম্মেলন উদ্বোধনের পর উদীচী কার্যালয় হতে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাজবাড়ী রেল স্টেশন, বাটা রোড, স্বর্ণকারপট্টি হয়ে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় এসময় স্লোগান দেওয়া হয় যে, দুঃশাসন হটাও, ব্যবস্থা বদলাও, বিদেশে টাকা পাচারকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ কর, ঘুষ দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ কর, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তিপাকসহ নানা দাবি লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

বিকেলে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থিতিতে সমর্থনে ধীরেন্দ্র নাথ দাসকে সভাপতি ও আব্দুল হালিম বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যরা হলেন, আব্দুস সামাদ মিয়া, আব্দুস সাত্তার মন্ডল, মুজিব আলম বকুল, সুরেশ সিকদার, আলিফ শেখ। দু'জন সদস্যের পদ ফাকা রাখা হয়েছে।

(আরকে/এএস/জুন ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test