E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘উন্নত জাতের পাট বীজ আমদানি করা লাগবে না’

২০২৪ জুন ২১ ২৩:০০:০১
‘উন্নত জাতের পাট বীজ আমদানি করা লাগবে না’

যশোর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আওয়াল বলেছেন, ‘তোষা পাট-৯ একটি উচ্চ ফলনশীল পাট। এর বীজ দেশীয়। এটি চাষ করে কৃষক লাভবান হবেন। দেশে উৎপাদিত বিধায় আমদানি-নির্ভরতা কমবে। এখন থেকে উন্নত জাতের পাট বীজ আমদানি করা লাগবে না।’

শুক্রবার (২১ জুন) বিকালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামে ‘উচ্চ ফলনশীল বিজেআরআই তোষা পাট-৯ (সবুজ সোনা) জাতের আর্ট উৎপাদন জনপ্রিয়করণ বিষয়ক মাঠ দিবসের’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজেআরআইয়ের পরিচালক কৃষিবিদ ড. নার্গীস আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত তরফদার। এতে উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রিন্স মন্ডল, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন কঠুরাকান্দি গ্রামের কৃষক সংগঠক প্রয়াত আইয়ুব হোসেনের দৌহিত্র রাহাত হোসেন জয়। তিনি জানান, প্রায় ২০ শতক জমিতে নতুন জাতের পাট বুনেছেন। কঠুরাকান্দি ছাড়াও বন্দবিলা, নিমটা, জহুরপুর প্রভৃতি গ্রামের প্রায় ৩০ জন কৃষক এই পাট চাষ করেছেন। পাট বীজ কৃষকরা মণিরামপুর উপকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পেয়েছেন। এতে সবাই লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

বিজেআরআই সূত্রে জানা গেছে, ভারতের জেআরও-৫২৪-এর সঙ্গে দেশীয় আগাম পরিপক্ব জার্মপ্লাজমের (এক্সেশন-১৭৪৯) মধ্যে সংকরায়ণ (হাইব্রিডাইজেশন) ঘটিয়ে নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন পরীক্ষণে জমিতে ভালো ফলন দিয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের ভূমি ও আবহাওয়া উপযোগী বলেও প্রমাণিত হয়েছে। অন্য বীজগুলোর চেয়ে এই জাতটি স্বল্প সময়ে ভালো ফলন দেয়।
কৃষকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিজেআরআইয়ের পরিচালক নার্গীস আক্তার ২০০৪ সালে জাতটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পরে উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিজ্ঞানীদের নিয়ে জাতটি উদ্ভাবন করেন। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষামূলক গবেষণার পর জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ বলেন, ‘সাধারণ পাটের থেকে এই জাতের জীবনকাল ১০-২০ দিন কম। সাধারণ পাটের জীবনকাল ১২০ দিন। এছাড়া এই জাতের পাটের উৎপাদনও বেশি হয়।’

(এসএ/এসপি/জুন ২১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test