E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ছেলের চাকরির জন্য স্ট্যাম্প-চেক দিয়ে প্রতারণার শিকার কৃষক বকুল

২০২৪ জুন ০২ ১৯:২৮:৩৬
ছেলের চাকরির জন্য স্ট্যাম্প-চেক দিয়ে প্রতারণার শিকার কৃষক বকুল

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীতে ছেলের চাকরির জন্য স্ট্যাম্প ও চেক দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন কৃষক বকুল মোল্যা। এখন উল্টো মামলার বোঝা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বকুল মোল্যা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের ভিটি গ্রামের আবুল কাশেম মোল্যার ছেলে।

বকুল মোল্যা বলেন, তার বড় ছেলে মিরাজকে বিয়ে দেয় ফরিদপুরের মধুখালীর গোহালপাড়া গ্রামের দাউদ শেখের মেয়ের সাথে। সেখানে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় একেন শেখের সাথে। একেন শেখের মাধ্যমে পরিচয় হয় নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার লাহড়িয়া প্রসন্নপাড়া গ্রামের মোঃ শফিউদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে। বিল্লাল সরকারী চাকরি দিতে পারে বলে পরিচয় করিয়ে দেয় একেন। মিরাজের তখন ফায়ার সার্ভিসে চাকুরীর জন্য অনলাইনে আবেদন করা ছিল। বিষয়টি বিল্লালের সাথে শেয়ার করলে সে চাকরি দিতে পারবে, সে জন্য বিল্লালকে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তখন তাকে ৫-৬ লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হন তাও এপারমেন্ট কার্ড পাবার পরে।

আসামি বিল্লাল রাজি হয়ে ৩ টি ব্লাংক চেক এবং তিনটি স্ট্যাম্প নেয়। পরে ছেলে পলিপাস রোগে আক্রান্ত থাকায় তাকে সরকারী চাকুরী পেতে হলে পলিপাস রোগের চিকিৎসা করাতে হবে বলে জানায়। বিল্লাল শেখ জানতো মেহেদী হাসান পলিপাস রোগের চিকিৎসা করায়। সে অনুযায়ী মিরাজ, একেন শেখকে সাথে নিয়ে বিল্লাল গ্রাম্য ডাক্তার মেহেদী হাসানের নাকোল বাজারে দোকানে নিয়ে যায়। মেহেদী হাসানের সাথে বিল্লালের তখনই পরিচয় হয়। বিল্লালকে পরিচয় করিয়ে দেয় যে, সে বিদেশে লোক পাঠায়, সরকারী চাকুরী ও দিতে পারেন। বিল্লালের মাধ্যমে তার ছেলে মিরাজকে ফায়ার সার্ভিসে চাকুরীর জন্য তদবির করতেছেন। মেহেদী হাসান জানতে পারে যে, মিরাজকে ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী দিবার জন্য বিল্লালকে ৩ টি চেক এবং ৩ টি ব্লাংক স্ট্যাম্প দিয়েছেন। এসময় মেহেদী হাসানের গ্রামে ডাক্তারী করে তেমন ইনকাম না হওয়ায় বিল্লালের মাধ্যমে বিদেশে যেতে রাজি হন। বিল্লাল হোসেন মেহেদী হাসানের সাথে কথা বলে ৮ লক্ষ টাকায় বিদেশে পাঠাবে বলে ঠিক দেয় এবং মেহেদী হাসানের কাছ থেকে ২ টি ব্লাংক চেক নেয়।

তিনি আরও বলেন, তার ছেলে মিরাজকে সরকারী চাকুরীর জন্যে বিল্লালকে চেক দিয়েছেন সেই বিশ্বাসে মেহেদী হাসানও বিল্লাল হোসেনকে চেক দেন। পরে ছেলেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে পলিপাসের চিকিৎসা দিলে তারা সকলে মাগুরা থেকে চলে আসেন। এরপরে মেহেদী হাসান অনেক যোগাযোগ করেও বিল্লালের খোঁজ পায় না। সরকারী চাকরির ব্যাপারে কোন আলাপ করে না। তার চেক ফেরতের জন্য চাপ দিলে বিল্লাল আমার বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকা দাবী করে এনআই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারা মতে আমলী আদালত লোহাগড়া নড়াইলে সিআর মামলা করে এবং মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অনুরূপভাবে ২০ লক্ষ টাকা দাবী করে এনআই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় একই আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেছে।

রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, বকুল মোল্যা বাদী হয়ে রাজবাড়ী আদালতে মেহেদী হাসান ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতই আদালতে দাখিল করা হবে।

(একে/এসপি/জুন ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test