E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মাজারের সামনে অবৈধভাবে বসতবাড়ি করার পাঁয়তারা, এলাকাবাসীর বাধা 

২০২৪ জুন ০১ ১৭:২২:৪১
মাজারের সামনে অবৈধভাবে বসতবাড়ি করার পাঁয়তারা, এলাকাবাসীর বাধা 

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার দক্ষিণ-বাড়ির পবিত্র মুনুমিয়া ও ছুনুমিয়ার মাজার শরীফের সামনের অংশ দখল করে বসতবাড়ি করার পায়তারা চলছে।এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুনুমিয়া ও ছুনুমিয়ার মাজার শরীফের সামনে পাকা সড়ক। সড়কের পাশেই চন্দনা নদী। স্থানীয় মো: জাহিদ হক নামে এক ধন্যাঢ্য ব্যক্তি নদীর পাশে পবিত্র মাজার শরীফের সামনে বসতবাড়ি স্থাপনের জন্য কয়েকটি কংক্রিটের খুটির সাথে টিনের বেড়া দিয়ে রেখেছে। নদীর ও রাস্তার মাঝের অংশ হওয়ায় এই জাইগা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। সুতরাং পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি কাউকে লিজও দিয়ে থাকেন তবুও সে বসতবাড়ি করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ও মাজার শরীফের খাদেম সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস আর ভক্তি থেকে এই মাজারে এসে মানত করে। এই রাস্তার সামনে দিয়ে মানুষ ধীর গতিতে গাড়ি চালিয়ে যায়। অনেকেই পায়ের জুতা/স্যান্ডেল হাতে নিয়ে মাজার শরীফ পার হয়। একটি কথা প্রচলন আছে এই মাজার শরীফের জীন-পরি বাস করে। তারা মাজার থেকে চন্দনা নদীতে গিয়ে ওজু করেন। এই জন্য যুগযুগ ধরে এই মাজার শরীফের সামনে অংশ ফাঁকা রাখা হয়।

স্থানীয় সহিদ সিকদার বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর আগের এই মাজার কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয় সামনের অংশে কোন বসত বাড়ি করা যাবে না।কারণ এটা একটা পবিত্র ধর্মীয় স্থান। বিশ্বাস আর ভক্তির জাইগা থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ আসে। মাজারে সামনে বসতবাড়ি হলে এর পবিত্রতা নষ্ট হবে। যেহেতু সামনের অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তাই বাড়িঘর না করে চাষাবাদ করে খেতে পারেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী নজরুল খান বলেন, আমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দেখে আসছি মাজারে সামনের অংশ ফাঁকা রাখা হয়েছে। হঠাৎ জাহিদ ও মাসুদ (দুই ভাই) সিমেন্টের খুটি ও টিন দিয়ে বসতবাড়ি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি গিয়ে তাদের কাজে বাধা দেই। তবুও সে প্রভাব খাটিয়ে ঘর করার হুমকি দিচ্ছে।

ঘর নির্মাণ কারীর ছোট ভাই মাসুদ হক বলেন, এই জমি স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে দীর্ঘদিন আগে কিছু অর্থের বিনিময়ে নাম মাত্র কাগজ করে নিয়েছি। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের থেকে নিজ নিয়েছি।আমার ছোট বোন অসহায়। তাই তাকে এখানে বাড়ি করে দিবো।

মাজার শরীফের খাদেম ইজু আহম্মেদ বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর এই মাজারের খাদেম। মাজার শরীফের সামনে ঘর বাড়ি করা নিষেধ আছে। এখন দেখি জাহিদ আর মাসুদ ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। এলাকাবাসী বাধা দিছে।

তিনি আরও বলেন, আমার নিজের দেখা মাজার শরীফ থেকে সাপ বেশে জিন-পরি বেড় হয়ে নদীতে যায়। এই মাজারের সামনে দিয়ে গাড়ি ধীর গতিতে যায়। তাই এই মাজারের পবিত্রতা রক্ষার্থে বাড়িঘর না করায় ভালো।

(একে/এসপি/জুন ০১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test