E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

রাজবাড়ীতে আরামঘর শিশু নিকেতনের চড়ুই ভাতি অনুষ্ঠিত

২০২৪ মে ৩১ ১৯:৩৮:৪৯
রাজবাড়ীতে আরামঘর শিশু নিকেতনের চড়ুই ভাতি অনুষ্ঠিত

একে আজাদ, রাজবাড়ী : আরাম ঘর শিশু নিকেতনের চড়ুইভাতী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শুক্রবার। দিনব্যাপী সংগঠনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় নানা আয়োজন। সকাল থেকে নানা ধরনের খেলাধুলা গান আবৃত্তি ইত্যাদি  চলে। দুপুরে খাবারের পর বিকাল ৪ টার দিকে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কবিতা, গান, নাচ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এক ঘন্টা সময় কাটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার পার্থপ্রতিম দাস। তিনি বলেন এভাবে যদি এলাকায় এলাকায় সাংস্কৃতিক চর্চা চলমান থাকে তাহলে সমাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সন্ত্রাস মৌলবাদ সহ সকল অশান্তি দূর হবে। সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তীর সভাপতি অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক চায়না সাহা,ফারুক উদ্দিন।অনুষ্ঠানের সার্বিক সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শিশু নিকেতনের কো-অর্ডিনেটর রেজোয়ান হোসেন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রেজাউল কবির স্বপন।

আরাম ঘর একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটি শিক্ষা ও সচেতনতা, বাঙ্গালী সংস্কৃতিমনষ্ক, প্রকৃতিপ্রেম সৃজনশীল, মানবিক, সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানোর জন্য তরুণ এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করছে।

পথশিশুদের মাঝে সামাজিক অবক্ষয় লক্ষনীয়। তারা শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত থাকে। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সংগঠনটির যাত্রা শুরু।

যেখানে শিশুরা সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে শিল্প সাহিত্য চর্চা করার সুযোগ পাচ্ছে।

নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত নিশ্চিত করা শিশু কিশোরদের সৃজনশীলতায় উদ্বুদ্ধ প্রতিবেশীকে সাহায্য করা, নিজের কাজ নিজে করা, নিজের স্বাস্থ্য সচেতন থাকা, বড়দের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করা।

ছোট এই শিশুরা নিয়মিত তাদের সুন্দর কাজগুলো ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করে রাখে। কে কত বেশি সুন্দর উপস্থাপন করতে পারে। সবার মাঝে থাকে এই প্রতিযোগিতা, যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা হয় সামাজিক মূল্যবোধের নিয়মিত চর্চার হাতেখড়ি।

বর্তমানে আরাম ঘর শিশু নিকেতন মোট ৩ টি শাখায় প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে পাঠদান করা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণও সরবরাহ করা হচ্ছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের পূর্ণ মানসিক বিকাশ লাভ এবং প্রতিভা অন্বেষণ করার জন্য বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশুদের নিয়ে চিত্তবিনোদনের জন্য চড়ুইভাতির আয়োজন, শিশুবান্ধব দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করা হয়।

তাদের মাঝে সৃজনশীলতা চেতনা বৃদ্ধি করতে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমী নিয়ে যাওয়া হয় ।। শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন তাদের অধিকার রক্ষা এবং সুশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আরাম ঘরের স্বেচ্ছাসেবীরা বদ্ধপরিকর। সুবিধা/সুবিধাবঞ্চিত সমাজের বসবাসরত শিশুর সুশিক্ষা, সাংস্কৃতিমনস্ক , ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আরাম ঘর শিশু নিকেতন কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৪সালের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বর্তমানে ৫০ জনের অধিক স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করছে।

সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত, ছিন্নমূল এবং ভাসমান মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাতা লিটন চক্রবর্তী ও স্বেচ্ছাসেবকগন তাদের মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

(একে/এএস/মে ৩১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test