E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শ্বশুর বাড়ি থেকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার

২০২৪ এপ্রিল ২১ ১৮:২৩:৫৫
শ্বশুর বাড়ি থেকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার

মাদারীপুর প্রতিনিধি : শ্বশুরবাড়ি থেকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ইশিতা আক্তার (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী এনামুল ঢালীকে (৪২) আটক করেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুইচারভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে পারিবারিকভাবে অভিযোগ করা হয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে ইশিতাকে হত্যা করেছে। নিহত ইশিতা আক্তারের এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুইচারভাঙ্গা গ্রামের মাজেদ ঢালীর ছেলে এনামুল ঢালীর সাথে প্রায় এক যুগ আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে ইশিতা আক্তারের। বিয়ের সময় ইশিতার বাবার বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র দেয়া হয় এনামুলের পরিবারকে। এরপরও আরোও যৌতুকের জন্য ইশিতার উপর নানা ধরণের মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করা হতো। এ বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে সমাধানের জন্য বসলেও কোন প্রতিকার হয়নি। সবশেষ শনিবার রাতে শ^শুরবাড়ি থেকে ইশিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের বাবার বাড়ির পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না দেয়ায় এনামুল, তার বড়ভাই টুটুল ঢালীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে ইশিতাকে। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

নিহত ইশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য এভাবে মেরে ফেলবে, কখনও ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় জড়িত এনামুল ও তার পরিবারের লোকজনের কঠিন বিচার চাই।

ইশিতার মামা মো. আকাশ বলেন, আমার ভাগিনিকে ওর শশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। এখন তারা বলে, আত্মহত্যা করেছে। ৮ মাসের গর্ভবতী কোন মা আত্মহত্যা করতে পারে না। এর আগেও যৌতুকের জন্য ইশিতাকে নির্যাতন করেছে। এই ঘটনায় এমন বিচার চাই, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়।

ঘটনার পর থেকে নিহতের শশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায়, তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান বলেন, গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী এনামুলকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে মামলা রেকর্ড করে বাকি অপরাধীদের ধরার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test