E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

টেন্ডার ছাড়াই রাতের আঁধারে বালু বিক্রি, ঝুঁকিতে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের সম্পদ

২০২৪ এপ্রিল ১৬ ১৮:২৯:০১
টেন্ডার ছাড়াই রাতের আঁধারে বালু বিক্রি, ঝুঁকিতে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের সম্পদ

রঘুনাথ খাঁ, সাসাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলে টেন্ডার ছাড়াই দেদারছে বালু বিক্রির মহোৎসব চলছে। বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাত্র ৪ বিঘার ছোট্ট একটি পুকুর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ ট্রাক বালু বিক্রি করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, ৩ ফুট করে মাটি কাটার কথা বলে প্রথমে পুকুর শুকানো হয়। তারপর হঠাৎ ড্রেজার মেসিন বসিয়ে রাত ১০ টার পর মিলে ট্রাক ঢুকিয়ে সারা রাত ধরে বালু পাচার করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সম্পত্তি হরিলুট চলছে অন্যদিকে পুকুরের পাশের বড় মসজিদ, পানির প্লান্ট ও অন্যান্য বিল্ডিং মাটির নিচে ধ্বসে যাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুধু বালু নয়, ট্রাক ট্রাক লোহা-লক্কড়, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য সহ বহু অবৈধ কাজ এখানে দেদারছে চলে। মাত্র ৮-৯ টাকার বিদ্যুৎ বিল আলাদা বিল বানিয়ে শত শত ভাড়াটিয়াদের থেকে আদায় করা হয় ২৩/২৫ টাকা ইউনিট। এ নিয়ে প্রতিবাদ করে লাভ হয়নি। কিন্তু কেউ কিছু বলতে গেলে ইনচার্জ বাশার তাকে হাইকোর্ট দেখিয়ে দেন। হতভম্ব হয়ে যায় মিলের মধ্যে সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ।

আর এসব কাজের হোতা মিলের হিসাব রক্ষক ও বর্তমান ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা শফিউল বাশার।
বাশার এই বিশাল সরকারি সম্পত্তি একাই লুটপাট করে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মিলের ভিতর বসবাসকারী কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে বাসা ছাড়ার হুমকি দেন বাশার। টেক্সটাইল মিলের এই সরকারি সম্পত্তি প্রায় ৭ বছর ধরে সে লুট করে আসছে। আর এদিকে কেউ নজর দিলেই তাকে Rab এর ভয় দেখায়, না হলে বাসা ছাড়তে চাপ দেয়। এজন্য আত্মসম্মানের ভয়ে তার হরিলুট কেউ দেখেও দেখে না।

স্থানীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মিলের সহায় সম্পদ হরিলুটে ইনচার্জ শফিউল বাশারের ভরসাস্থল বিটিএমসি'র ডিজিএম কামরুল। এখানকার ফলফলাদি, পুকুরের মাছ ও টাকা পয়সার কিছু ভাগ পাঠিয়ে তাকে ম্যানেজ করে বাশার দেদারছে সব করে যাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবেও একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছে বাশার। যেখানে বর্তমান বালুর চালান গুলোও যাচ্ছে। মিল সংক্রান্ত আরও অবৈধ ব্যবসা আছে ঐ সিন্ডিকেটের সাথে। এসব করে বাশার বরগুনা ও খুলনায় কয়েক দফায় জমি কিনেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল ইনচার্জ শফিউল বাশার তার বিরুদ্ধে আনীত ঢালাও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যা কিছু হচ্ছে সবই বিটিএমসি'র সাথে সমন্বয় করে। এখানে বিটিএমসি'র বাইরে কারো নাগ গলানোর সুযোগ নেই।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test