E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মাদারীপুরে দুই শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর

২০২৪ মার্চ ০৬ ১৮:২৫:৪৯
মাদারীপুরে দুই শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার দুই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলা কার্যালয়ে ১১ জন শিক্ষকের সাক্ষ্য নেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন। পরে অভিযুক্ত দুই শিক্ষা অফিসারেরও সাক্ষ্য নেয়া হয়।

অভিযুক্তরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ করিম ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দাতুন নেছা রূপা।

অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ করিম ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দাতুন নেছা রূপার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দেন।

২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বরের অভিযোগে বলা হয়, ওই দুই উপজেলা শিক্ষা অফিসার অফিসে কাজের বিনিময়ে বিভিন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ নেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, অফিস ফাঁকি দিয়ে নেশায় আসক্ত হন। এমনকি অবৈধভাবে বিলাস বহুল গাড়ি কিনে যাতায়াত করেন। যা সরকারি নিয়মপরিপন্থি কাজের সামিল। বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে ৬ মার্চ অভিযোগ দাখিলকারী ১১ জন শিক্ষকের সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন। তদন্তের স্বার্থে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কমিটি।

মাদারীপুরের পুলিশ লাইনস্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বাচ্চু বলেন, ওই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম করেই যাচ্ছে। আমরা চাই, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় দুর্নীতি মুক্ত থাকুক। কোন অনিয়ম চাই না আমরা।

অভিযুক্ত সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম বলেন, বেনামে কয়েকজন শিক্ষক একটি অভিযোগ দিয়েছে, যার কোন ভিত্তিই নেই। যেহেতু তদন্ত হচ্ছে, প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তীতে বিষয়টি বোঝা যাবে।

আরেক অভিযুক্ত সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দাতুন নেছা রূপা বলেন, অভিযোগ তো যে কেউ দিতেই পারে। তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সত্য মিথ্যা উঠে আসবে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, ইতিমধ্যেই অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর তদারকি করছে। সেখান থেকেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের কাছে কোন তথ্য চাইলে যেটাও দেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test