E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

চরপাথরঘাটার তহশিলদারের কাছে জিম্মি সেবা প্রত্যাশীরা

এক খতিয়ানে ৮০ হাজার ও এক মিস মামলায় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ!

২০২৩ জুন ২১ ১৭:০৪:১৬
এক খতিয়ানে ৮০ হাজার ও এক মিস মামলায় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ!

জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম : কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহশিলদার) উজ্জ্বল কান্তি দাশের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই কর্মচারীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিকার চেয়ে ইতোপুর্বে জেলা প্রশাসক বরাবরে একাধিক অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি সেবা প্রত্যাশীরা। এছাড়াও চাহিদা মতো ঘুষ নিয়ে ভূমি কেন্দ্রীক আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগও রয়েছে ওই তহশিলদারের বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম ফয়েজী নামে এক ব্যক্তি তাঁর আত্বীয় আহম্মদ এর নামে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি খতিয়ানের আবেদন করে চরপাথরঘাটা তহশিল অফিসে যান। পরে তহশিলদার নানা হয়রানি করায় ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হন তিনি । ঘুষ নিয়ে চরপাথরঘাটা মৌজার ৩১০৬ নামজারি করে দেন। এ বিষয়ে ইব্রাহিম জানান, চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হতদরিদ্র মানুষ, গরিব মানুষ এসব বলে কোন লাভ হয়নি। ঘুষ দিলে সব ধরনের নামজারি খতিয়ানের প্রতিবেদন দেন তহশিলদার।

এদিকে মইন উদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আদালত হতে দেওয়া ১৪৫ ধারা মিছ মামলা নম্বর ১৪৮ ও ১৯৪ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে দেওয়ার কথা বলে চরপাথরঘাটার তহশিলদার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। দাবিকৃত পুরো টাকা দিলেও এখনো তিনি ওই প্রতিবেদন দুটি কোর্টে পাঠাতে পারেননি। শুনেছি উপজেলা ভূমি অফিসে আটকে রয়েছে।’

এ রকম আরও নানা ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই ভূমি সহকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা উজ্জ্বল দাশের বিরুদ্ধে যে কোনো কাজে টাকা নেয়ার অভিযোগ নিয়মিত করে আসছেন। ঘুষ ছাড়া তিনি কাজ করেন না। কোন ফাইল ধরেন না।

অভিযুক্ত উজ্জ্বল কান্তি দাশ ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কখনও অতিরিক্ত টাকা নিই না। আর এসব কাজে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেকে কাজে খুশি হয়ে যা টাকা পয়সা যা দেন।’

এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পীযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। মানুষ টাকা দেওয়ার আগে আমাদের কাছে আসে না। যখন টাকা দিয়ে পেলে তখন আসে। মানুষকে ভূমি অফিসের কাজে নিয়মের বাইরে কোনো টাকা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি বারবার। আর অভিযোগ পেলে যে কারো বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(জেজে/এসপি/জুন ২১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test