E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

মাগুরায় পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও কনস্টেবলের আত্মহত্যা

২০২২ জুলাই ২১ ১৯:৪৭:৩৩
মাগুরায় পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও কনস্টেবলের আত্মহত্যা

মাগুরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি)পুলিশ সুপার খন্দকার লাবনী বুধবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি)হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার পিতার বাড়ি উপজেলার বরালিদহ গ্রামে হলেও তার জন্ম থেকে শুরু কওে শিক্ষা ও চাকরী জীবন সারঙ্গদিয়ার নানাবাড়িতেই। শ্বশুরবাড়ি জেলার সদও উপজেলার হাজিপুর গ্রামে।  ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামী তারিক আব্দুল্লাহ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তহয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে খুলনাতে কর্মরত আছেন। নিহত লাবনীর দু'টি কন্যা সন্তান। প্রথমটি ২য় শ্রেণীর ছাত্রী এবং ছোটটির বয়স প্রায় ৩ বছর।

নিহতের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আজম জানান,তার কন্যা এডিসি খন্দকার লাবনীর সাথে তাঁর স্বামী তারিক আব্দুল্লাহ’র দীর্ঘ দিন পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। এ কারণেই ইতিপূর্বেও সে ঘুমের বড়ি খেয়ে এবং গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো। গত রবিবার তিনি ছুটিতে নানা বাড়িতে আসেন। বুধবার রাতে পরিবারের সকলের চোখে কফাঁকি দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ কওে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে বেধে আত্মহত্যা করে। পওে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার কওে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ অফিসারের মৃত্যু সংবাদ শুনে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইমঅপারেশন) মোঃ নজরুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জ পুলিশসুপার মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে বিভাগীয় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইমঅপারেশন) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুও কারণ জানা যায়নি তবে পুলিশী তদšচলছে। তবে খুব শীঘ্রই এ মৃত্যুও আসল রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ময়না তদন্তের জন্য তাকে মাগুরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে বৃহষ্পতিবার ভোর রাতে মাহমুদুল হাসান নামে এক কনস্টেবল মাগুরা পুলিশ লাইন ভবনের ছাদে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি কওে আত্মহত্যা করেছে। মাহমুদুল হাসান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সদরের এজাজুল হকের ছেলে। তিনি দেড় মাস আগে বদলী হয়ে মাগুরায় আসেন। এক সময় নিহত খন্দকার লাবনী’র দেহরক্ষী ছিলেন বলে জানা গেছে। তাকেও মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ দু’টি আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল হাসান জানান ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ডিসি/এএস/জুলাই ২১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৩ মার্চ ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test