E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

কক্সবাজারে পুকুরে ডুবে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

২০২২ জুন ২৪ ২৩:৪৪:৫১
কক্সবাজারে পুকুরে ডুবে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

জাহেদ সরওয়ার, কক্সবাজার : কক্সবাজার শহরের বাজার ঘাটার নাপিতা পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে মারুফুল ইসলাম মাহি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুন) বিকাল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজারঘাটার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংস্কারকৃত পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মাহী কক্সবাজার শহরের পিটি স্কুল টেকনাফ পাহাড় এলাকার আবদুল মালেকের পুত্র ও কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্র।

জানা যায়, জুমার নামাজের আগে সাড়ে ১০টার দিকে নয় বন্ধু মিলে পুকুরে গোসল করতে নামে। আট বন্ধু পুকুরের পানিতে হৈ-হুল্লোড় করলেও সাঁতার না জানায় পুকুরের ঘাটে নেমে বসে থাকে মাহী। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বন্ধুরা খেয়াল করে তাদের বন্ধু মাহী নেই। কিন্তু পুকুর পাড়ে মাহীর জুতো ও কাপড় পড়ে আছে। তখন বন্ধুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মাহীকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এরই মধ্যে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা এসে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

তবে পুকুরের একজন পাহারাদার জানায়, রাস্তা থেকে এক মহিলা কেউ একজন ডুবে যাচ্ছে বলে চিৎকার করছিল। তিনি দ্রুত ওই স্থানে আসতে আসতে লোকটি ডুবে যায়।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দশজন সদস্য তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু পুকুরটি বেশ গভীর হওয়ায় কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষের দিকে যে স্থানে ডুবেছে তার কাছেই পানির গভীরে মরদেহটি পাওয়া যায়। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।

এদিকে মাহীকে উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা। তারা জানায়, পুকুরে গোসল করা নিষিদ্ধ এটি তারা জানতো না। এছাড়াও তারা যখন গোসল করতে নামে তখন আরো লোকজন গোসল করছিল। পুকুরটিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সংস্কার করে পর্যটন স্পট বানিয়েছে কিন্তু এখানে তদারকির কোন ব্যবস্থা রাখেনি। পুকুরের গভীরতা বেশি হওয়ায় এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তারা তাদের বন্ধুকে অকালে হারায়।

তারা আরও বলেন, মাহী ডুবে যাওয়ার ঘটনা ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়াও তাদের নাকি উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি নেই। আর পানি সেচের জন্য দুটি মেশিন আনলেও তাও অকার্যকর ছিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজারের মত বিশ্বের দীর্ঘতম পর্যটন স্পটে কোন ডুবুরি দল নেই। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সকালে ডুবে যাওয়ার পর কক্সবাজার বিচ থেকে উদ্ধার কর্মীরা আসে দুপুর দেড়টায়। একজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের এ ধীরগতি দায়িত্ব অবহেলা ছাড়া কিছু নয়।

(জেএস/এসপি/জুন ২৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test