E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ফরিদপুরে বিষপানে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

২০২১ মে ০১ ১৮:০৫:৩৭
ফরিদপুরে বিষপানে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের আহম্মদ মোল্লার পুত্র আল আমিন (২০) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

গত ৯ই এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে এ বিষপানের ঘটনা ঘটে। বাড়ির লোকজন দেখার পরে তাকে দ্রুত ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীকে পরবর্তীতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৬টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আহম্মদ মোল্লার চার ছেলে। কৃষি কাজ করে সংসারের সমস্ত জীবিকা নির্বাহের পর চারটি সন্তানকে লেখাপড়া চালিয়ে আসছিল। দ্বিতীয় ছেলে মোঃ আল আমিন (২০), তিনি ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে এস এস সি পরিক্ষায় পাস করে, ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজে এইচ এসসি পড়ুয়া একজন ছাত্র ছিলেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আল আমিনের সাথে প্রতিবেশী এক ভাবির বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আবার অনেকে বলেন এই ভাবির সাথেও তার সম্পর্ক ছিল।

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে গ্রামের একই এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী সাজেদুলের সঙ্গে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন নিবাসী রুহুল আমিন এর মেয়ে রুনা বেগমের বিবাহ হয়। স্ত্রী রুনা বেগম ও একটি কন্যা সন্তান রেখে প্রায় দু'বছর যাবত সে প্রবাসে রয়েছেন।

স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী আল আমিন এর সাথে রুনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি নিহত আল আমিনের পরিবারের লোকজন জানতে পেরে, আল আমিনকে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলা হয় এবং আল আমিনকে অন্য জায়গায় মেয়ে দেখে বিবাহের কথা বলা হয়। এই প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ঘরে রাখা জমিতে ব্যাবহার করা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে।

এই ব্যাপারে নিহত আল আমিন এর বড় ভাই রায়হান মোল্লা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই ব্যাপারে রুনা বেগমের সাথে কথা হলে বলেন, আল আমিন আমার প্রতিবেশী হিসাবে দেবর হয়। শুধু দেবর হিসাবে কথাবার্তা হতো। তার সাথে অন্য কোন সম্পর্ক ছিল না। তাকে ছোট ভাই হিসেবে স্নেহ করতাম, এবং বিভিন্ন কাজে কর্মে সহযোগিতা নিতাম। আমার স্বামী এবং তিন বছরের একটি সন্তান আছে। আমি কেন এ সমস্ত কাজে জড়াতে যাবো। আমার স্বামী আমার কাছে থাকে না বলে এ সমস্ত কথা বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

রুনা বেগমের শশুর মোঃ ইয়াদ আলী জানান, আল আমীন সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে তাকে আমি সাথে নিতাম। সেই সুবাদে আমার বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন লোক মিথ্যা কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছে।

(ডিসি/এসপি/মে ০১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test