E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ঠান্ডা জনিত রোগী বেড়েছে ৫০ শতাংশ  

হবিগঞ্জ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ২০০ রোগীর জন্য একটি নেবুলাইজার!

২০২১ জানুয়ারি ২৪ ২৩:৪১:৪১
হবিগঞ্জ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ২০০ রোগীর জন্য একটি নেবুলাইজার!

তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : শীতের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়েই ঘরে ঘরে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে বেশীর ভাগই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের রোগী স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গেছে। তবে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসা সরঞ্জাম।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ঘুরে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে লেবু নেইজার ও সাকার মেশিন সংকটের কারণে ঠান্ড জনিত শ্বাসকষ্ট রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন।

ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে দেখা যায়, গত ১ সপ্তাহে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশু ও বয়বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছাড়াও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত অন্য রোগীরাও নেবুলাইজার ও সাকার মেশিনের মাধ্যমে গ্যাস পুশ ও কফ বের করার জন্য এ হাসপাতালে আসেন।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, ৫ মাসের শিশু তানিয়া ও ৩ বছরের অন্য আরেক শিশু তোহা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে কাতরাচ্ছিলো। এ সময় ওই ২ শিশুর মাকে তাদের সন্তানদের বাঁচাতে নেবুলাইজার ও সাকার মেশিনের জন্য এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। হাসপাতালে একটি মাত্র নেবুলাইজার মেশিন, তাও আবার মাঝে মধ্যে বিকল হয়ে থাকে। কফ বের করার সাকার মেশিনও নেই। একই সময় একটি নেবুলাইজার মেশিন দিয়ে একাধিক রোগীকে কিভাবে গ্যাস পুশ করবেন। এর মাঝে আবার মহামারী করোনা ভাইরাসে একটি মাত্র মেশিন শতাধিক রোগীরা ব্যবহার করায় ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্ক তো থাকছেই। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় মাঝে মধ্যেই রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে মেশিন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুর” হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স জানান, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রায় ২০০ জন রোগী আছে। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। নেবুলাইজার আছে তবে এটা নষ্ট হয়ে গেলে পরিবর্তন করা হয়। পুরোটাই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।

শিশু বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর মা জানান, পুরো শিশু ওয়ার্ডে একটি মাত্র নেবুলাইজার মেশিন। বাচ্চাকে নেবুলাইজার দিতে গেলে দাড়িয়ে থাকতে হয়। আরও দুএকটি মেশিন বাড়ালে ভাল হয়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালে নেবুলাইজার বিকল হলে পরিবর্তন করা হয় এবং বিকল হবার কোন তথ্য পাওয়া গেলে পরিবর্তন করা হয়। কফ বের করার জন্য সাকার মেশিনও আছে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৩ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test