টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা বিএনপির দুই সহ-সভাপতি সহ চার নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকলপর্যায় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিস্কৃৃতরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী ইমাম তপন ও হাসানুজ্জামিল শাহীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহমেদুল হক শাতিল এবং সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান লিটন। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৫ (গ)-এর ধারা মোতাবেক এই চার নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সাথে, কেন তাদের স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিস্কার করা হবে না তার যথাযথ কারণ দেখিয়ে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে দলের মহাসচিব বরাবর একটি লিখিত জবাব পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, চার নেতার বহিস্কারের চিঠি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছ থেকে আমাদের কাছে এসেছে। বহিস্কৃত নেতারা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যে হামলা চালিয়েছে এতে তারা দল বিরোধী কাজ করে দলীয় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তারা আওয়ামীলীগের সাথে লিয়াজোঁ করেই এ কাজ করেছেন। যা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত হয়েছেন। আর সে জন্যই তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে যদি ভবিষ্যতে তারা সংশোধন হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্মরণাপন্ন হন তাহলে হয়তো কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের ব্যপারে অন্য কোন পজেটিভ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও করতে পারেন।

এ বিষয়ে বহিস্কৃত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন জানান, জেলা বিএনপির নতুন কমিটি হওয়ার কিছু দিন পর আমরা দল থেকে পদত্যাগ করেছি। সেই পদত্যাগপত্র মহাসচিব বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যেখানে আমরা দলেই নেই সেখানে কিভাবে বহিস্কার করা হয়। আর কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে বিএনপির বর্তমান কমিটির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী এবং কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বাদি হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল সহ ২৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলঅ দায়ের করেন। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়েরকৃত ওই মামলায় অজ্ঞাত আরো এক-দেড়শ’ জনকে আসামী করা হয়।

(আরকেপি/এএস/জুলাই ৩১, ২০১৭)