টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় মুুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকা সহসাই প্রকাশ না হলেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তদের মধ্যে ২৩ জন রাজাকার শনাক্ত করা হয়েছে।

এদের মধ্যে দুজন যুদ্ধাহত ও একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদায় ভাতা পাচ্ছেন। তারা হচ্ছেন, ঘাটাইল পৌরসভার চান্দশী গ্রামের (যুদ্ধাহত ভাতাপ্রাপ্ত) যথাক্রমে আব্দুল আজিজ পিতা মৃত বাজিতুল্লাহ, ধলাপাড়া ইউনিয়নের সাগরদীঘি গ্রামের মো. ইব্রাহিম ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন লোকেরপাড়া ইউনিয়নের গর্জনা গ্রামের আবু সাইদ মিয়া।

২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩৪০ নম্বর স্মারকপত্রের আলোকে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটির দৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধা স্পষ্টকরণ প্রতিরোধ হিসেবে এদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাপ্রাপ্ত রাজাকাররা হচ্ছেন, ঘাটাইল পৌরসভা চান্দশী গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদ, দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর খিলগাতী গ্রামের মো. ময়েজ উদ্দিন, ঘাটাইল ইউনিয়নের আন্দিপুর গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জামুরিয়া ইউনিয়নের লাউফুলা চানতারা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ, লোকের পাড়া ইউনিয়নের মনহরা গ্রামের মো. সিরাজুল, আনেহলা ইউনিয়নের সিঙ্গুরিয়া গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিন, একই ইউনিয়নের শিয়ালকোল চেংটা গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের স্ত্রী রানী বেওয়া, দিঘলকান্দী ইউনিয়ন দত্ত গ্রামের কাজী হাফিজুর রহমান, দিগড় ইউনিয়নের ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান ওরফে আনছার, একই ইউনিয়নের ধোপাজানী গ্রামের মো. মোবারক আলী, দেওপাড়া ইউনিয়নের সুলাকি পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম, সন্ধানপুর ইউনিয়নের কামার চারা গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিন, আ. আজিজ, মফিজ উদ্দিন, তোরাপ আলী, সমশের আলী, মো. মীর কাশেম এবং তার ভাই মীর আ. সামাদ, রসুলপুর ইউনিয়নের দুলদিয়া খাজনা গারা গ্রামের ইব্রাহিম ও ধলাপড়া ইউনিয়নের শহরগোপিনপুর গ্রামের আ. ছালাম মিয়া।

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাছাইয়ে এদের সবাইকে ‘রাজাকার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

(আরকেপি/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৭)