নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের বাদশা মাতুব্বরের মেয়ে সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা সুমী আক্তার (২০) গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিচারের আশায় মাতুব্বরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সুমীর পরিবার।

সুমী জানান, দুই বছর ধরে পার্শ্ববর্তী হাসনহাটি গ্রামের মোতালেব মোল্যার ছেলে জাহিদ মোল্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমীর। জাহিদের সংসারে বর্তমান স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জাহিদ একটি ভূয়া কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে সুমীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করে। সুমীর মা অঞ্জনা বেগমকে খালা ডেকে জাহিদ প্রায় দিন সুমীদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।

সম্প্রতি ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে সুমীর গর্ভে সন্তান রয়েছে। গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য জাহিদ ফরিদপুর মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যায় সুমীকে। এসময় তাদের সাথে সুমীর মা অঞ্জনা বেগম ছিলেন। গর্ভের সন্তানের বয়স ৬-৭ মাস হয়ে যাওয়ায় ডাক্তার বাচ্চা নষ্ট করতে রাজি হয়নি। এ ঘটনার পর সুমী জানতে পারে জাহিদের সাথে তার বিয়ের কাবিন নামাটি ভুয়া ছিল।

গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে জাহিদকে বিয়ের চাপ দিলে জাহিদ সুমীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে সুমী ও সুমীর মা বিষয়টি এলাকার মাতুব্বরদের জানায়। হাসনহাটি গ্রামের ইকরাম হোসেন, গোড়াইল গ্রামের রাজ্জাক মাতুব্বর ও কাইয়ুম মেম্বার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তারা সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়।

সুমীর মা অঞ্জনা বেগম বলেন, এলাকার মাদবাররা সমাধান দিতে চেয়ে আমাকে মামলা করতে দেয়নি। জাহিদ বলছে, ‘গর্ভের সন্তান ফেলে দিলে সে সুমীকে বিয়ে করবে।’ মাদবাররা বলছে ‘৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাহিদকে সব রকম দাবী থেকে মুক্তি দিতে।’ তবে আমরা চাই সুমীর গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি।
এ ব্যাপারে জাহিদের বক্তব্য জানতে সাংবাদিকরা তার বাড়িতে গেলে জাহিদ পালিয়ে যায়।

(এনএস/এসপি/এপ্রিল ১২, ২০১৭)