আবু নাসের হুসাইন ও নিমাই সরকার, সালথা/নগরকান্দা থেকে : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃহসময়ের কান্ডারী, জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির জ্যেষ্ঠপুত্র, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আয়মন আকবার চৌধুরী বাবলুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় সংঘর্ষ, মারামারি- হানাহানি, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতনসহ যাবতীয় সহিংসতা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

জানা যায়, আদিম যুগ থেকে প্রতিনিয়ত সালথা-নগরকান্দায় গ্রাম দু-দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অহরহ ঘটতো। অগণিত মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসে যেতেন। যেমন ছিলো ভাতের অভাব, তারপর আবার সংঘর্ষ হানাহানি। এই দুইয়ের চাপে মানুষ অসহায় ভাবে জীবন যাপন করতো। কোথাও ছিলোনা কোন রাস্তা-ঘাট, সে জন্য সংঘর্ষে আহত বা অসুস্থ রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাবস্থা ছিলো না। আহত বা অসুস্থদের ধুকে ধুকে মরতে হতো। বর্তমানে জননেতা বাবলু চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সেই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে সালথা-নগরকান্দার মানুষ আজ পরিত্রান পেয়েছে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ তথা গণমানুষের প্রানপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তার স্পর্শে সালথা-নগরকান্দায় রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। সাজেদা চৌধুরী ও বাবল চৌধুরীর স্পর্শে এই উন্নয়নের কাজ আজো ধারাবাহিকভাবে চলছে।

স্থানীয় কয়েকজন বৃদ্ধ এ প্রতিদবেদককে বলেন, ছোট্ট বেলায় দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলার ঝনঝনানিতে সকালের ঘুম ভেঙ্গে যেত। আমাদের প্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুযোগ্যপুত্র আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরী সালথা-নগরকান্দার উন্নয়নের পাশাপাশি সংঘর্ষ, মারামারি, হানাহানি, ভাংচুর ও লুটপাট বন্ধের জন্য বিরামহীন ভাবে চেষ্টা করে আসছেন। একমাত্র তার প্রচেষ্টায় এখন আর আগের মতো সহিংসতা কোথাও ঘটেনি। সাধারণ মানুষ আজ শান্তির মুখ দেখেছে।

(এএনএইচ/এনএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭)