সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় বুধবারের সংঘর্ষের জের ধরে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ৪০টি বসতঘর ভাংচুর ও একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সংঘর্ষকারীরা। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষনদিয়া গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ শর্টগানের রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ২দিনের সংঘর্ষে পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত লক্ষনদিয়ার পাশ্ববর্তী কাঠালবাড়িয়া গ্রামে আবু মাতুব্বরের পক্ষের সাথে মিন্টু শেখের পক্ষের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত ও অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাট করা হয়। এই সংঘর্ষের জের ধরে বুধবার রাতে লক্ষনদিয়া গ্রামের একটি মাদ্রাসার সামনে থেকে গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলুকে প্রতিপক্ষ হাফিজুর মাতুব্বরের লোকজন মারধর করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ৪০টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডিএম বেলায়েত হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ভাঙ্গা) মো. মহিউদ্দীন বলেন, গত দুই দিনের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১৩৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।

(এএনএইচ/এএস/জানুয়ারি ২৬, ২০১৭)