প্রবীর সিকদার :


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দুর্ভাগ্য আমাদের, আপনি না জানা পর্যন্ত আমরা অনেক বিড়ম্বনা থেকেই যেন বাঁচতে পারি না। আমি নিশ্চিত ফরিদপুরের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা সত্যজিতও জটিল বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবে ওর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার স্তূপে আপনার দরদী চোখ পড়লেই। একটি নয়, দুটি নয়, হয়রানি করতে সাজানো ২০ মামলায় ফরিদপুর জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ মুখার্জি। ওর ছোট দুটি বাচ্চা বাবাকে কাছে না পেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি খুব ভালো করেই জানেন, কি পরিমান মেধা, ত্যাগ ও নেতৃত্বের গুণাবলী থাকলে একজন ছাত্রলীগ কর্মী বঙ্গবন্ধুর সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। আপনি নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেখুন, ছাত্রলীগ তথা আওয়ামীলীগের দুর্দিনের সাথী সত্যজিৎ মুখার্জি কি ভয়াবহ আক্রোশের শিকার হয়ে সাজানো ২০ মামলায় ফরিদপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন। রহস্যজনক কারণে জেলখানাতেও ফাঁসির আসামির সেলে রেখে সত্যজিতকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে , যেটা অনেকটাই বিচারের আগে সাজা ভোগ করবার মতোই দুর্বিষহ পরিস্থিতি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগ নেতা সত্যজিতের জন্য দুর্বিষহ বাস্তবতা এই, আপনি ছাড়া ওকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। সত্যজিতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সত্যজিতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মানস মুখার্জিকেও কারাবন্দী রাখা হয়েছিল অনেকদিন। এক পর্যায়ে আপনার হস্তক্ষেপেই মুক্তি পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মানস মুখার্জি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছাত্রলীগ নেতা সত্যজিৎ মুখার্জিকে রক্ষা করুন এবং হেফাজত করুন আওয়ামীলীগের জন্য দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় এক রাজনৈতিক নেতাকে।

(পিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬)