সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : সম্প্রতি ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় ৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পদটি শুন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠদানে প্রভাব পড়ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি দাফতরিক কাজে সময় বেশি দিতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৩৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য আছে। উপজেলার রামকান্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংহপ্রতাপ, খর্দ্দলক্ষনদিয়া, যদুনন্দী, জগনাথদি, খারদিয়া পশ্চিম পাড়া, দক্ষিন গুপিনাথপুর, চাঁদপুর হোগলাকান্দী, নটখোলা, বল্লভদি, সোনাতুন্দী, ফুলবাড়িয়া, বিষ্ণুনদী, শ্রীফলতলী, কুমারকান্দা, রাঙ্গারদিয়া, বাউসখালী, চর বল্লভদি, রায়েরচর, চান্দাখোলা, পুরুরা সাধুপাড়া, আজলপট্টি, খারদিয়া দক্ষিন পাড়া, পিসনাইল, মুড়াটিয়া পুড়াগদি, খারদিয়া কাজী পাড়া, বড় বাংরাইল, গোপালিয়া, মাঝারদিয়া পশ্চিম পাড়া, পুটিয়া, যদুনন্দী পশ্চিম পাড়া, বলিভদ্রদি ও কিত্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ে এখনও শিক্ষক সংকট প্রকট। শিক্ষক স্বল্পতা নিয়েই অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে। যে খানে ৫ থেকে ৭ জন শিক্ষক প্রয়োজন।

একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দাফতরিক কাজে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রায়ই উপজেলা সদরে যেতে হয়। এসময় একজন শিক্ষককে এক সাথে ২/৩টি শ্রেণীতে পড়াতে হয়। এতে করে ক্লাস ঠিক মতো হয় না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম বলেন, প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভার প্রতিবেদন তৈরি ও দাফতরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সহকারী শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করান।

প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ করে সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে সঠিকভাবে পাঠদান কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া শিক্ষক সংকটের কারনে তাদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে আগামী সমাপনী পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়তে পারে। প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদগুলোতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, বিদ্যালয়ের দাফতরিক ও অফিসিয়াল সব কার্যক্রম প্রধান শিক্ষক নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ সব কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত এসমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।

(এএনএইচ/এএস/আগস্ট ২৩, ২০১৬)