শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জেলার নড়িয়া থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোঃ হায়দার আলীর বাড়িতে শনিবার রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ি ও তার সমর্থকরা বোমা হামলা ও গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরিবার ও সমর্থকরা।

শনিবার রাত অনুমান পৌনে ৯টায় ২৫/৩০টি মোটরসাইকেলে করে বিরোধী প্রার্থীর লোকেরা এসে বোমাবাজি ঘটিয়ে পাশের মধু ঋষির বসতবাড়ির একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা ও গুলির খোসাসহ আলামত উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

মধু ঋষির ছেলে দীনেশ ডটকমকে বলেন, ‘দুটি ককটেল ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কারা এটা করেছে তা দেখিনি।’

প্রতিবেশী সুইটি বেগম বলেন, ‘৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী এসে আমাদের গালিগালাজ করে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি করে। আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে বাচ্চা নিয়ে বসে থাকি।’

এ ব্যাপারে হায়দার আলী মেয়রের মেয়ে সাকেরা নাসরিন বলেন, শনিবার রাতে ২৫/৩০ টি মোটরসাইকেলে করে বিদ্রোহী প্রার্থী তার সমর্থক শাহ আলম চৌকিদারসহ ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী এসে আমাদের বাসা লক্ষ্য করে বোমা মারে ও গুলি করে। এ সময় আমরা দরজা আটকে বাসায় ঢুকে পড়ি। তারা আমাদের পরিবারের লোকজনদের গালিগালাজ করে। সন্ত্রাসীরা আমাদের না পেয়ে প্রতিবেশী আমাদের নৌকামার্কার সমর্থক মধু ঋষির বাড়ি গিয়ে একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে।’

‘আমরা ভোট চাইতে পারি না। কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে মারধর করে, মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি,’ এমন কথা বলেন খোদ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হায়দার আলী।

অভিযোগের ব্যাপারে আওয়মী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজি ও গুলির ব্যাপারে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী বলেন, ‘বোমা হামলার খবর শুনে সেখানে গিয়ে আলামত উদ্ধার করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হলে মামলা নেওয়া হবে।’

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫)