বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের পর টাকা ফেরত দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চাকুরি প্রার্থী দু’প্রার্থী। অপর এক প্রার্থী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোল্লাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কাশিনাথ হাওলাদার শূন্য পদের জন্য প্রধান শিক্ষক, ব্যবসায় শিক্ষা ও অফিস সহকারি পদে বিজ্ঞাপন আহ্বান করেন। সে অনুযায়ি প্রধান শিক্ষক পদে ১০ জন, ব্যবসায় শিক্ষা পদে ৮ জন ও অফিস সহকারী পদে ৭ জনসহ মোট ২৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সদর বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান শিক্ষক পদে কোটালীপাড়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের মহেন্দ্র নাথ হালদারের ছেলে নারায়ন চন্দ্র হালদার ও অফিস সহকারি পদে উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের হৃষিকেশ সরকারের ছেলে রমেন্দ্র নাথ সরকার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়।
স্কুল সভাপতি কাশীনাথ হাওলাদারের চাহিদানুয়ায়ি ওই প্রার্থীরা বিপুল পরিমাণর টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে নিয়োগ দেয়নি কাশীনাথ। নিয়োগ না পেয়ে তারা বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে কাশী নাথ কমিটির অন্য সদস্যদের না জানিয়ে ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে চলমান মামলার পরেও চলতি বছরের ১৪ মার্চ পুণরায় তিনটি পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেন।

আদালতে চলমান মামলার পরেও ডিজির প্রতিনিধিসহ নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারি পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও পরে তাদের নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয় সভাপতি। সভাপতি কাশিনাথ হাওলাদার। ওই নিয়োগে ব্যবসায় শিক্ষা পদের জন্য উপজেলার আস্কর গ্রামের গৌরঙ্গ লাল অধিকারীর ছেলে বাদল কৃষ্ণ অধিকারীর কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার হাতিয়ে নেয় কাশী নাথ। চাকুরির জন্য বাদলের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষও গ্রহন করেন সভাপতি কাশীনাথ। তবে মামলার কারণে তাকে নিয়োগ দিতে না পারায় এলাকার অভিভাবকসহ অন্যান্য লোকজনের চাপের মুখে বাদলকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন কাশী নাথ হাওলাদার।
কমিটির সভাপতি কাশী নাথ হাওলাদারের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে সৌমিত্র হালদারসহ শতাধিক লোক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যপারে সভাপতি কাশিনাথ হাওদার সাংবাদিকদের জানান, দুটি পদ নিয়ে আদালতে মামলার থাকায় নিয়োগে দিতে পারিনি। ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন বাদল কৃষ্ণ অধিকারীকে তিনি চেনেন না। এ ব্যপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নেছা জানান, মোল্লাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই ঘটনায় আগৈলঝাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হবে।

(টিবি/পি/জুলাই ২৩, ২০১৫)