বরিশাল প্রতিনিধি : কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় দীর্ঘদিন থেকে সরকারি খাস জমিতে বন্দোবস্তো নিয়ে বসবাস করা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৩টি পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওইসব পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের চররমজানপুর গ্রামের। একটি বিশেষ মহলের প্রত্যক্ষ মদদে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির মুখে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ৪৩টি সংখ্যালঘু পরিবারের কয়েক’শ বাসিন্দারা। ওই সম্প্রদায়ের নেতা কালিপদ মন্ডল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৮৬ সালে সম্পূর্ণ বৈধভাবে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তো নিয়ে তারা ৪৩টি সংখ্যালঘু পরিবার ওই মৌজার ১১একর ৫১ শতক জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন।

অতিসম্প্রতি তাদের সহায় সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী দেলোয়ার কবিরাজ, শাহে আলম হাওলাদার, সেকান্দার হাওলাদার, আলাউদ্দিন কবিরাজ ও মুজিবুর রহমানসহ তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের। অভিযোগে আরও উলে¬খ করা হয়, একটি বিশেষ মহল ওইসব সন্ত্রাসীদের পক্ষালম্বন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় ওই ৪৩টি সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ থেকে উৎখাতের জন্য নানাধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
কালিপদ মন্ডল তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা অব্যাহত হুমকির পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে হয়রানি করে আসছে। ওইসব সন্ত্রাসীদের রোষানল থেকে মুক্তিপেতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসহায় পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ৪৩টি সংখ্যালঘু পরিবারের শতাধিক পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


(টিবি/পিবি/জুলাই ০৬,২০১৫)