রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): বিএনপির ডাকা অবরোধ ও বিভিন্ন জেলায় হরতালের কারণে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মিল্কভিটার শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়ায় দুধ উৎপাদনকারী শতাধিক খামারি উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ।

ধারণক্ষমতা না থাকায় ৬ জানুয়ারি থেকে সমবায়ী খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ কারণে মিল্কভিটারা শীতলীকরণ ক্রয় কেন্দ্র থেকে সকালের দুধ খামারিদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে না। ফলে খামারিরা ৪৫ টাকা দরের ১ লিটার দুধ স্থানীয় বাজারগুলোতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। বিপুল অঙ্কের লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে খামারিদের ।

জানা যায়, সমবায়ী কৃষকদের দের কাছ থেকে দুধ কিনে তা মিতারী বাজারের শীতলীকরণ কেন্দ্রে নিয়ে সেখানে সংরক্ষণ ও পরে দুধ মিল্কভিটার ঢাকার মিরপুরের প্রধান কারখানায় পাঠানো হয়। প্রতিদিন এখানে শতাধিক খামারি ৫০০ থেকে ৫৫০ লিটার দুধ দেন। এই কেন্দ্র্রে মোট ৫ হাজার লিটার দুধ ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। অবরোধের কারণে দুধ ঢাকায় পাঠাতে না পারায় এই কেন্দ্রে নতুন করে দুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পূর্ব গাইয়ার চর গ্রামের হারিছ ও মধ্যে গাইয়ার চর গ্রামের সুশিল মজুমদার বলেন, মিল্কভিটায় দুধ নেয়া বন্ধ করে দিলে খামারিরা দুধ নিয়ে পথে বসছে। তাই অর্ধেক দামে স্থানীয় বাজারে সেই দুধ বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় বাজারে নিতে নিতে নষ্টও হয়ে যায়। মিল্কভিটায় অবরোধের পর থেকেই দুধ সংগ্রহ বন্ধ থাকায় অনেক খামারির দুধ নষ্ট হয়ে গেছে।

রায়পুর কারাখানার মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপক জয়নাল আবদীন বলেন, আগের সংগ্রহ করা দুধ অবরোধের কারণে ঢাকায় পাঠানো যাচ্ছে না। আর ধারণক্ষমতা না থাকায় সমবায়ীদের কাছ থেকে আপাতত দুধ সংগগ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।


(পিকেআর/এসসি/জানুয়ারি ১২ ,২০১৫)