শেখ ইমন, ঝিনাইদহ : নতুন ব্রীজ নির্মাণ করতে ভাঙ্গাা হয়েছে পুরাতন ব্রীজ। কেটে গেছে ৭ মাস। তবে এখনও গাথা হয়নি একটি ইটও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। বাঁশ দিয়ে নামমাত্র বাইপাস ব্রীজ নির্মাণ করলেও তা ব্যবহার অনুপযোগী। দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণ ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী বাইপাস ব্রীজ নির্মানের দাবী স্থানীয়দের। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন,দ্রুত সময়ের মধ্যেই জনদুর্ভোগ লাঘবে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম কোলা বাজার। উপজেলার কোলা, জামাল ইউনিয়নসহ পার্শবর্তী মাগুরা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত এ বাজারে। উইকেয়ার প্রকল্পের আওতায় কোলা বাজারের মাঝামাঝি বেগবতী নদীর উপর ৪৪ মিটার ব্রীজ নির্মান করার জন্য ভাঙ্গা হয়েছে পুরাতন ব্রীজটি। কিন্তু ৭ কেটে গেলেও এখনও শুরু হয়নি কাজ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরাতন ব্রীজ ভেঙে নদী পারাপারের জন্য নামমাত্র বাঁশের বাইপাস ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও তা চলাচলের অনুপযোগী। শুধুমাত্র মোটরসাইকেল,বাইসাইকেল ও পায়ে হেটে পার হয় স্থানীয়রা। ভারী বৃষ্টি হলেও তাও বন্ধ হয়ে যায়। এ এলাকার অর্ধশত গ্রামের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পণ্য আনতে হলে ঘুরতে হয় প্রায় ১০ কিলোমিটার। ভোগান্তিতে কৃষক, ব্যবসায়ীসহ শিক্ষার্থীরাও। দ্রুত সময়ের মধ্যে চলাচল উপযোগী বাইপাস ব্রীজ নির্মান ও নতুন ব্রীজের কাজ শুরু করার দাবি স্থানীয়দের। এদিকে সংশিষ্টরা বলছেন,দ্রুত সময়ের মধ্যেই জনদুর্ভোগ লাঘবে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

ব্রীজ দিয়ে চলাচলকারী রোকন ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার লোক চলাচল করে এই ব্রীজটি দিয়ে। কিছুদিন আগেও বৃষ্টির কারণে এই ব্রীজ ভেঙ্গে যায়। ফলে যাতায়াতকারীরা প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো। ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ হলে জনগনের জন্য খুবই উপকার হতো।’

নসিমন চালক ইসহাক বলেন, ‘পুরাতন ব্রীজ ভাঙ্গার পর থেকে গাড়িতে বেশি পরিমাণ মালামাল বহন করতে পারছি না। বাইপাস ব্রীজ মজবুত না হওয়ার কারণে অল্পকিছু মালামাল নিয়ে ব্রীজ পার হতে হয়। এতে আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে রোজগার। দ্রুত ব্রীজটি নির্মাণ বা বাইপাস সড়কটি মজবুত করে তৈরি না হলে না খেয়ে থাকতে হবে।’

মোটরসাইকেল চালক রবিন বলেন, ‘নদীটির দু’পাশে বসবাসকারীদের চলাচলের একমাত্র ব্রীজ এটি। দীর্ঘদিন কাজ না হওয়ায় আমরা খুবই ভোগান্তিতে আছি। বাইপাস ব্রীজের অবস্থা নাজুক। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে।’

ব্যবসায়ী জাফিরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ মণের বেশি মালামাল বহন করা যায় না এই ব্রীজ দিয়ে। একটু বেশি পরিমাণ মালামাল হলেই তা নামিয়ে মাথায় করে ব্রীজ পার করতে হয়।’

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জনদুর্ভোগ লাঘবে এ সমস্যার সমাধান করতে।’

(এসআই/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০২৪)